× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শ্যামনগরে ভেসে গেছে ১৫ হাজার চিংড়ি ঘের

বাংলারজমিন

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
২৯ জুলাই ২০২১, বৃহস্পতিবার

নিম্নচাপের প্রভাবে মৌসুমি বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে সাতক্ষীরা জেলার গোটা শামনগর উপজেলা। গত মঙ্গলবার বিকাল থেকে গতকাল বুধবার দুপুর পর্যন্ত ভারী বর্ষণে শ্যামনগর উপজেলা সদরসহ ১২টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার। ভেসে গেছে জমির ফসল, হাজার হাজার চিংড়ি মাছের ঘের ও পুকুর। উপজেলা সদরসহ ভুরুলিয়া, কাশিমারী, ঈশ্বরীপুর, রমজাননগর, কৈখালী, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া, নুরনগর, পদ্মপুকুর ও গাবুরা ইউনিয়নের বিলগুলোতে সদ্য রোপা আমন ও বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। হাজার হাজার চিংড়ি মাছের ঘের ও পুকুর ভেসে গেছে। নিম্ন অঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। সরদার সিদ্দীক বলেন, পানি নিষ্কাশন সুষ্ঠু ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে জলাবদ্ধতায় নাকাল হচ্ছে বছরের পর বছর। তিনি আরও বলেন, মৌসুমি বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে উপজেলা সদরের বাদাঘাটাসহ বিস্তীর্ণ এলাকা।
প্লাবিত এলাকার পাকা অনেক বাড়িতে পানি উঠেছে এবং কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। অনেকে ঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। এসব এলাকার বিলগুলোতে সদ্য রোপা আপন ও বীজতলার ক্ষতি হয়েছে। ভুরুলিয়া এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন জানান, ভারী বর্ষণে এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, বাড়িঘর। ভেসে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের। ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল পানিতে থৈ থৈ করছে। সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে মঙ্গলবার বিকাল থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত সাতক্ষীরায় ৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী কয়েকদিন এভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে বলে জানান তিনি। উপজেলা কৃষি অফিসার এনামুল ইসলাম জানান, ভারী বর্ষণে উপজেলার অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে সদ্য রোপা আমন, আউশ বীজতলার ক্ষতি হয়েছে। জরিপ করে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যদি ভারী বর্ষণ থেমে যায়, তাহলে রোপা আমন ও বীজতলার তেমন ক্ষতি হবে না। তারপরও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রস্তুতির কাজ চলছে বলে জানান তিনি। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জানান, আনুমানিক ১৫ হাজার চিংড়ি ও কাঁকড়ার ঘের এবং ৫ হাজার পুকুর বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে। যার ক্ষতির পরিমাণ ৩৫ থেকে ৪০ কোটি টাকা। আমরা ইতিমধ্যে তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর