হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলে মিনু আক্তার (৩০) চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন ২ বছর ৯ মাস ১০ দিন। ২৮শে জুন রাতে মুক্ত হওয়ার ১৩ দিন পর মিনুর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। মূল আসামি সেই কুলসুমীকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে নগরের পতেঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় কুলসুমীকে। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুমী লোহাগাড়া উপজেলার গৌরস্থান মাঝের পাড়া আহাম্মদ মিয়ার বাড়ির আনু মিয়ার মেয়ে। তার বর্তমান ঠিকানা কোতোয়ালী থানাধীন রহমতগঞ্জ সাঈদ ডাক্তারের ভাড়া বাড়ি।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং বলেন, তাকে আদালতে পাঠানো হবে। এর আগে, হত্যা মামলায় আদালত যাবজ্জীবনসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেন কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে। পরে তার পরিবর্তে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জেল খাটেন মিনু।
জানা যায়, নগরের রহমতগঞ্জে একটি বাসায় ২০০৬ সালের জুলাই মাসে মোবাইলে কথা বলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গার্মেন্ট কর্মী পারভিনকে গলা টিপে হত্যা করা হয়।
এরপর রহমতগঞ্জে একটি গাছের সাঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পারভিন আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেন গার্মেন্ট কর্মী কুলসুম আক্তার কুলসুমী।
পরে এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। পুলিশ দুই বছর তদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন জমা দেয়। ২০১৭ সালে নভেম্বর তৎকালীন অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে পারভিন হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
তবে সাজার পরোয়ানামূলে কুলসুম আক্তার কুলসুমীর পরিবর্তে মিনু ২০১৮ সালের ১২ই জুন কারাগারে যান। গত ১৮ই মার্চ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান নারী ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে মিনু কোনো মামলার আসামি নন বলে জানান।