শাহিদা আরবী সিমন ঢাকার চলচ্চিত্রে একা নামে অভিষিক্ত হলেন। ৯০ এর দশকে বাংলাদেশি রূপালী পর্দায় শুরু হলো তার পথ চলা। একার অভিষেক হয় চিত্রনায়ক আলমগীরের প্রডাকশন থেকে রঙিন ‘রাখাল রাজা’ ছবির মধ্য দিয়ে। পরে ভাগ্য দেবী সুপ্রসন্ন হলেন নবীন এই অভিনেত্রীর প্রতি। দেশীয় চলচ্চিত্রের সুপার স্টার মান্নার সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘তেজী’ ছবিতে নিজের অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়ে অসংখ্য দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নেন। ১৯৯৯ সালে কাজী হায়াতের ‘ধর’ ও ‘তেজী’ এই দুটি সিনেমাতে মান্নার সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করে বিপুল জনপ্রিয়তা পান। পর্দায় নির্ভরযোগ্য অভিনেত্রী হিসেবেও জায়গা করে নেন। এরপর আমিন খান, অমিত হাসান, বাপ্পা রাজ, আলেকজান্ডার বো ও শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু ব্যবসাসফল ছবি উপহার দেন।
৩০টির মতো ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। একা’কে সর্বশেষ ২০০৮ সালে ‘বাহাদুর সন্তান’ ছবিতে দেখা গেছে। এর পর অনেকটা স্বেচ্ছায় নির্বাসনে চলে যান একা। সাম্প্রতিক সময়ে হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হতে দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে। সেই সূত্র ধরেই যোগাযোগ তার সঙ্গে। কেমন আছেন, এখন কি করছেন- জানতে মুঠোফোনে কথা হলো। একা বললেন, ভালোই আছি। আপনারা তো আমাকে ভুলেই গেছেন। আপনি তো সেই সময় সিনেমায় সফল অভিনেত্রী ছিলেন, হঠাৎ এমন কি হয়েছিল যে, চোখের আড়ালে চলে গেলেন? একা বলেন, ব্যক্তিগত অসুবিধার জন্যই সরে গিয়েছিলাম। সিনেমার সাফল্য যখন আমার হাতের মুঠোয় হঠাৎ করে কি যে করে ফেললাম! চিত্রনায়ক আলেক জান্ডার বোকে বিয়ে করলাম। দুটি সন্তানের মা হয়ে গেলাম। সংসার জীবনে মনোযোগী হলাম। একটা সময় সিনেমার লোকজন আর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন না। কিন্তু আমার ভাগ্য খারাপ! সংসারকে সুখি করার জন্য নিজের সোনালী ক্যারিয়ারকে বাদ দিয়েছিলাম- সেই সংসারই টিকলো না। বর্তমানে কর্মব্যস্ততা কী নিয়ে? এ নায়িকা বলেন, কিছু টিভিসিতে কাজ করেছি আর মাই টিভিতে চলচ্চিত্র বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছি। স্টেজ শো করছি। অবশ্য করোনার জন শো আপাতত বন্ধ। মিডিয়ায় কানাঘুষা চলছে সদ্য ডিভোর্স হওয়া নায়িকা মুনমুনের সাবেক স্বামীর সঙ্গে আপনার একটা মধুর সম্পর্ক চলছে? একা বলেন, মুনমুনের সাবেক স্বামী মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেন। সেই সূত্র ধরেই আমার সঙ্গে পরিচয়। আমরা এক সঙ্গে অনেক শো করি। একজন সহশিল্পী হিসেবে যতটুকু দরকার ঠিক ততটুকুই, এর বেশি নয়।