× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

লকডাউনের প্রভাব / কুড়িগ্রামে বন্যার আগাম প্রস্তুতি নিতে বিপাকে মানুষ

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম থেকে
৩০ জুলাই ২০২১, শুক্রবার

বন্যাপ্রবণ কুড়িগ্রামের নদ-নদী তীরবর্তী মানুষ প্রতিবছর বন্যা মোকাবিলায় আগাম প্রস্ততি নিয়ে থাকেন। কিন্তু এবারে মহামারি করোনা আর লকডাউনের কারণে শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। কাজ নেই, জমানো অর্থও শেষ হয়ে যাচ্ছে, ফলে সেভাবে প্রস্তুতি নিতে পারছেন না তারা। নিজেদেরকে সপে দিয়েছেন ভাগ্যের ওপর। অপরদিকে জেলা প্রশাসন বলছে বন্যা মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি তাদের রয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ১৬টি নদ-নদীময় কুড়িগ্রাম জেলায় রয়েছে- ৩১৬ কিলোমিটার নদীপথ। প্রতি বছর ভারী বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢলের কারণে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যায় প্রায় ৪-৫ লাখ মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। এছাড়াও রয়েছে আগ্রাসী নদীভাঙন।
ফলে নদ-নদী তীরবর্তী মানুষের দুর্দশা যেন সারা জীবনের। প্রতিবছর বন্যার পূর্বে লোকজন আগাম প্রস্ততি নেয়। ঘরবাড়ি মজবুত করেন। আলগা চুলা, ওষুধপত্র, শুকনো খাবার ও জ্বালানি সংগ্রহ করে। পর্যাপ্ত চাল-ডাল ঘরে রাখেন। কিন্তু এবার অতিমারি করোনা আর লকডাউনের কারণে বেশিরভাগ শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষকে ঘরে বন্দি থাকতে হচ্ছে। ফলে কাজ না থাকায় উপার্জনও কমে গেছে। এর ফলে হাতে টাকা-পয়সা না থাকায় আগাম প্রস্তুতির কাজে হাত দিতে পারছেন না তারা। অপেক্ষা করছেন বন্যা বুঝে ব্যবস্থা নেবেন। উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের শেখ পালানু গ্রামের আবুল হোসেন, আশরাফ আলী ও মমেনা বেগম জানান, লকডাউনের কারণে ঢাকায় কাজ করতে যেতে পারিনি। যা টাকা নিয়ে আসা হয়েছে, তাই দিয়ে সংসার চলছে। ঘরবাড়ি মেরামত করাতে গেলে না খেয়ে থাকতে হবে। সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চরফারাজী পাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আশরাফুল, আবুল হোসেন, বক্কর ও মজিবর জানান, আমরা করোনা, নদী ভাঙন আর লকডাউনের কারণে খুব খারাপ অবস্থায় আছি। গত বন্যায় বাড়িঘর দুর্বল হয়ে গেছে। বেড়াগুলো ঠিক করা দরকার কিন্তু টাকা খরচ করতে ভয় হচ্ছে। যদি লকডাউন শেষ না হয়, তাহলে আমাদেরকে ভীষণ বিপদের মধ্যে পড়তে হবে।
সার্বিক বন্যার প্রস্তুতি নিয়ে উলিপুরের হাতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, করোনা ও লকডাউনের কারণে মানুষ ইনকাম করতে না পেরে আগাম জিনিসপত্র কিনে রাখা, ঘরবাড়ি ঠিক করা, কিছু অর্থ সঞ্চয়ে রাখতে পারেনি। ফলে বন্যা মোকাবিলা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে উত্তরের এই জনপদে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিক নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি সরকারি সহায়তা পৌঁছে দেয়া শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বন্যা মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত নৌকা ও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়াও বন্যা কবলিতদের জন্য পর্যাপ্ত চাল, নগদ অর্থ উপজেলা পর্যায়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ফলে এর প্রভাব তেমনটা পড়বে না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর