শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার ইদিলপুর মহিষকান্দি এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের আশ্রয়ণের ঘর নিয়ে সংবাদ প্রচারের পর পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। ঘরগুলো দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন। গত দুই সপ্তাহে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো মেরামতের কাজ সম্পন্ন করা হয়। গতকাল দুপুরে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে ওই আশ্রয়ণটি পরিদর্শনে যান। এ সময় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ছিলেন, গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, শরীয়তপুর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ও এটিএন বাংলা প্রতিনিধি রোকনুজ্জামান পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাভিশনের প্রতিনিধি শহিদুজ্জামান খান, শরীয়তপুর প্রেস ক্লাবের সহ- সভাপতি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রতিনিধি শেখ খলিলুর রহমান, প্রথম আলো পত্রিকার প্রতিনিধি সত্যজিত ঘোষসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদিকবৃন্দ।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, আশ্রয়ণের সবগুলো ঘরেই বসবাস করছে উপকারভোগীরা। আশ্রয়ণটিতে বালু ফেলে ৩ ফুট উঁচু করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে প্রকল্পটি সুরক্ষিত রাখতে ৬ শতাধিক জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে আশ্রয়ণের চারপাশে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ৩টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।
এ ছাড়া ৩০ ঊর্ধ্ব আশ্রয়ণের বাসিন্দারের কোভিড- ১৯ টিকা প্রদানের জন্য একটি রেজিস্ট্রেশন বুথ উদ্ধোধন করেন তিনি। জেলা প্রশাসক নিজেই দুইজনের নাম রেজিস্ট্রেশন করেন ওই বুথে বসে। আশ্রয়ণে একটি ছবেদা ফলের গাছ রোপণ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের আন্তরিকতার কোনো ত্রুটি নেই। অতিবর্ষণের কারণে কয়েকটা ঘরে সমস্যা হয়েছিল। এ সময় জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান বলেন, আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে এ প্রকল্পটি এগিয়ে নিতে কাজ করছি। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সংবাদকর্মীসহ বিভিন্ন সোর্সের মধ্যেমে আমি প্রতিনিয়ত আশ্রয়ণের বাসিন্দাদেরও খোঁজখবর রাখি। কোথাও কোনো ধরনের সমস্যার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সর্বাধিক গুরুত্বের সঙ্গে তা সমাধানের চেষ্টা করি। এখানে উপহারের ঘরে যে সমস্যা হয়েছিল দ্রুততার সঙ্গে আমরা সমাধানের চেষ্টা করেছি।
যে সমস্যাগুলো সামনে এসেছিল সেগুলো সমাধান করা হয়েছে।