গত মাসে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ম্যাচ চলাকালীন হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের। ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের ৪০তম মিনিটে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ডেনিশ তারকা। কিছুক্ষণ পর মাঠেই জ্ঞান ফেরে তার। সেখান থেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপারেশনের পর ছয়দিন হাসপাতালে কাটিয়ে বাড়ি ফেরেন ২৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। দেড় মাস কেটে গেলেও আবারও মাঠে ফেরা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে এরিকসেনের। ইন্টার মিলান তারকার মাঠে ফেরায় বড় বাধা ইতালির কঠিন নিয়ম।
হৃদরোগে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম রয়েছে ইতালি সরকারের। নিয়ম অনুযায়ী, ‘হৃদযন্ত্রে সামান্যতম সমস্যা থাকলেও পেশাদার ও আধা পেশাদার ক্রীড়ায় অংশ নিতে পারবেন না সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় ও অ্যাথলেট’।
এই নিয়মের পক্ষে ভোট দিয়ে সরকারের সঙ্গে লিখিত চুক্তি রয়েছে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের। গত বছরের জানুয়ারিতে টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে ইন্টার মিলানে নাম লেখান এরিকসেন। ইন্টারের সিরি আ জয়ে বড় অবদান রয়েছে তার। সর্বশেষ ডাক্তারি পরীক্ষায় দেখা গেছে, এরিকসেনের হৃদযন্ত্র স্বাভাবিক রয়েছে। ইন্টার মিলানের সঙ্গে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে এরিকসেনের। ডেনিশ মিডফিল্ডার আগামী সপ্তাহে পা রাখবেন মিলানে। ইন্টার মিলান আবারো পরীক্ষা করবে এরিকসেনের হৃদযন্ত্রের অবস্থা। যা এরিকসেনের মাঠে ফেরার প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইন্টার সব রিপোর্ট জমা দেবে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনে। তারাই সিদ্ধান্ত নেবে ইতালিতে আর ফুটবল খেলতে পারবেন কি না এরিকসেন।
এরিকসেনের মতো হৃদযন্ত্রে সফল অস্ত্রোপচারের পর মাঠে ফিরেছেন ডাচ তারকা ডালি ব্লিন্ড। গত ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপেও খেলেছেন তিনি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে হৃদযন্ত্রে অপারেশন করান ব্লিন্ড। কয়েক মাস বিরতির পর আয়াক্সের হয়ে নিয়মিতই খেলছেন ডাচ লীগে। ২০১০ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত আয়াক্সে একসঙ্গে খেলেছেন এরিকসেন ও ব্লিন্ড। আয়াক্সে খেলার সময় একই রুমে থাকতেন দু’জন। ইউরোয় এরিকসেনের হার্ট অ্যাটাকের পরদিন ম্যাচ ছিল নেদারল্যান্ডসের। ইউক্রেনের বিপক্ষে সেই ম্যাচে মাঠ থেকে উঠে যাওয়ার সময় আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েন ব্ল্নিড। বন্ধু এরিকসেনের ঘটনা ভীষণভাবে নাড়িয়ে দিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ডিফেন্ডারকে।