ধারণার চেয়েও বড় শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে শ্রীলঙ্কার তিন ক্রিকেটার- কুশল মেন্ডিস, দানুশকা গুনাথিলাকা ও নিরোশান ডিকভেলার বিরুদ্ধে। গত জুনে ইংল্যান্ড সফরে জৈব সুরক্ষায় বলয় ভাঙার অপরাধে সাময়িক নিষিদ্ধ রয়েছেন এই লঙ্কান ত্রয়ী। পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি বড় শাস্তির সুপারিশ করেছে।

ইংল্যান্ডে সিরিজ চলাকালীন সুরক্ষা বল ভেঙে ডারহামের শপিংমলে ঘুরতে দেখা যায় দানুশকা গুনাথিলাকা ও কুশল মেন্ডিসকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিওতে ছিলেন না নিরোশান ডিকভেলা। পরে জানা যায় তিনিও ছিলেন তাদের সঙ্গে। সিরিজ চলাকালেই দেশে ফেরেন এই তিন ক্রিকেটার। তদন্ত কমিটির শাস্তির সুপারিশের বিষয়ে ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, ‘গুনাথিলাকা ও কুশল মেন্ডিসকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধের সুপারিশ করা হয়েছে। তবে কিছুটা কম শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে ডিকভেলার ক্ষেত্রে। এই কিপার-ব্যাটসম্যানকে ১৮ মাস ক্রিকেটের বাইরে রাখার কথা উল্লেখ করেছে তদন্ত কমিটি।’

শ্রীলঙ্কান সংবাদমাধ্যম ধারণা করেছিল এই তিন ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ শাস্তি পেতে পারেন ৬ থেকে ১৬ মাস পর্যন্ত। লঙ্কান সংবাদমাধ্যমের খবর, মেন্ডিস ও গুনাথিলাকাকে তুলনামূলক কঠিন শাস্তির সুপারিশের পেছনে ভূমিকা রয়েছে অতীতে তাদের শৃঙ্খলা ভঙ্গের ঘটনাও।
গত বছর জুলাইয়ে ভোরে একটি বিয়ে থেকে ফেরার সময় কলম্বোতে মেন্ডিসের গাড়ির ধাক্কায় ৭৪ বছর বয়সী এক পথচারী মারা যান। পুলিশ তরুণ এই ব্যাটসম্যানকে আটকও করে। সেই ঘটনায় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে তিরস্কার করা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, মেন্ডিসকে দুই বছরের জন্য নিশিদ্ধ করার সুপারিশে এই ঘটনাও বিবেচনায় এনেছে কমিটি। অন্যদিকে গুনাথিলাকা এমন গুরুতর কিছু না করলেও ইতিমধ্যেই দুইবার শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শাস্তি ভোগ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ২০১৮ সালে কলম্বোতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট চলাকালীন মধ্যরাতের কারফিউ ভাঙা। তাতে ছয় ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। কিপার-ব্যাটসম্যান ডিকভেলার বিরুদ্ধে এর আগে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আসেনি আগে কিংবা তাকে মেন্ডিসের মত কখনও আটক করা হয়নি।