জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার সাজিপাড়া মহল্লায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর স্বামী বিষপানে আত্মহত্যা চেষ্টা চালিয়েছে। পুলিশ স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে এবং ঘাতক স্বামীকে অসুস্থ অবস্থায় আটক করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার সকালে নিহতের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আক্কেলপুর শহরের সাজিপাড়া মহল্লার আলী আকবর ও তার স্ত্রী হালিমা বেগমের ২৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে ২ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। কিন্তু তাদের সংসারে পারিবারিক কলহ লেগেই ছিল। তারই জের ধরে সন্তানরা বাড়িতে না থাকায় শুক্রবার ভোরে আলী আকবর স্ত্রী হালিমাকে বাড়ির নিজ কক্ষে ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা নিশ্চিত করে এবং পরে তিনি নিজে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ সময় তাদের সন্তানরা স্বজনদের বাড়িতে ছিল। পরে প্রতিবেশিরা হালিমার ঘুম থেকে না ওঠার কারণে ডাকাডাকি করতে থাকে এবং কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে দেখে মরদেহ।
এসময় পাশের ঘরে নিহতের স্বামী আলীর গোঙ্গানির শব্দ পেয়ে দেখে সে গুরুতর অসুস্থ এবং মুখ থেকে বিষের গন্ধ আসে। খবর পেয়ে পুলিশ আলেশার মরদেহ উদ্ধার করে। আর আলী আকবরকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধারের পর প্রথমে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে অবস্থার অবনতি হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে পুলিশি পাহারায় বগুড়ার শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত কওে জানান, হত্যাকা-ের খবর পেয়ে নিহত আলেশা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার অভিযোগে আলী আকবরকে আটকের পর মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিহতের ছেলে এবং মেয়ে জানান, জমিজমা নিয়ে বাবা’ মায়ের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো, বাবা জমি বিক্রি করতে চায়। কিন্তু সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে মা তাতে বাধা দিলে বাবা মাকে নির্যাতন করত। তারা জানান, একবছর আগেও বাবা মাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ চালায়। তারা মায়ের জন্য কান্না জড়িত কন্ঠে হত্যাকারী বাবার বিচার দাবি করেন।