বকশীগঞ্জে এক স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। কথিত প্রেমিকের সাথে বেড়াতে গিয়ে প্রেমিক ও তার বন্ধুদের দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় কিশোরী। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ সময় কথিত প্রেমিকসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, কুড়িগ্রামের রৌমারি উপজেলার কোমরভাঙ্গি এলাকার রফিকুল ইসলামের পুত্র অটোরিকশা চালক হোসাইন শান্তর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয় একই এলাকার সপ্তম শ্রেণির স্কুল শিক্ষার্থীর। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে গত বৃহস্পতিবার এই কিশোরীকে শান্তর কয়েকজন বন্ধুসহ অটোরিকশাযোগে বেড়াতে নিয়ে যান জামালপুরের বকশীগঞ্জ লাউচাপড়া পিকনিক স্পটে। লকডাউনের কারণে পিকনিক স্পট বন্ধ থাকায় পাশের একটি পাহাড়ে নিয়ে যায় কথিত প্রেমিক শান্ত। পিকনিক স্পট বন্ধ থাকায় দুর্গম পাহাড়ে মানুষের উপস্থিতি একবারেই কম থাকার সুযোগে একে একে ৫ বন্ধু মিলে ধর্ষণ করে ওই কিশোরীকে।
এ সময় কিশোরীর চিৎকারে স্থানীয় মানুষ পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। কথিত প্রেমিক শান্তসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ভিকটিম বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় হোসাইন শান্তকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তার ৫ জন হলোÑ কুড়িগ্রামের রৌমারি উপজেলার কোমর ভাঙ্গা এলাকার রফিকুলের পুত্র হোসাইন শান্ত, আজিজুলের পুত্র আমিনুল ইসলাম ও অজিমানের পুত্র আঙ্গুর আলম। বকশীগঞ্জের লাউচাপড়া এলাকার রেজাউল করিমের পুত্র আজাদ ও পলাশতালা এলাকার হাম্বুর পুত্র হিটলার।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, কুড়িগ্রামের রৌমারীর ওই ছাত্রীকে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে পাহাড়ে উঠে প্রেমিক ও তার চার বন্ধু পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ওই ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।