নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ১২ জন মাঝিমাল্লাসহ মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ট্রলারে থাকা ১১ জন জেলেকে আশেপাশে থাকা অন্যান্য ট্রলারের সহযোগিতায় জীবিত উদ্ধার করা হয় এবং একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ দুর্ঘটনায় নিখোঁজের সাড়ে ৭ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কোস্টগার্ড হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের চর বগুলা এলাকার মেঘনা নদী থেকে এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত শ্যামল চন্দ্র জলদাস (৩০) উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের দক্ষিণ শুল্লুকিয়া চর বগুলা মার্কেট এলাকার মতিলাল চন্দ্র জলদাসের ছেলে।
এর আগে একইদিন দুপুর ১টার দিকে ১২জন মাঝিমাল্লাসহ দুপুর ১টার দিকে প্রবল স্রোতের কবলে পড়ে উপজেলার চর ঈশ্বর ইউনিয়নের কাজীর ঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট এম তাহসিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি মানবজমিনকে জানান, হাতিয়া থেকে দুপুরের দিকে মাছ শিকারের জন্য ১২ জন মাঝিমাল্লাসহ মেঘনা নদীতে যায় একটি মাছ ধরার ট্রলার। এ সময় ট্রলারটি মেঘনা নদীর কাজীর ঘাটের অদূরে পৌঁছলে বৈরী আবহাওয়ার ও প্রবল স্রোতের কবলে পড়ে ১২ জন মাঝিমাল্লাসহ ট্রলারটি উল্টে ডুবে যায়।
এ সময় দুর্ঘটনার শিকার ট্রলারে থাকা ১১ জন জেলেদেরকে পার্শ্ববর্তী মাছ ধরার কয়েকটি ট্রলার এসে জীবিত উদ্ধার করে। এতে শ্যামল চন্দ্র নামে এক জেলে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে কোস্টগার্ড হাতিয়া সন্ধ্যা ৬টার দিকে খবর পেয়ে আড়াই ঘন্টা অভিযান চালিয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধার করে।