হংকংয়ের বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে প্রথম কাউকে সাজা দেয়া হলো। টং ইং কিট নামের ওই ব্যাক্তিকে ৯ বছরের কারাদ- দেয়া হয়েছে। পুলিশের অবস্থানকে লক্ষ্য করে মটোরসাইকেল হামলা এবং হংকংয়ের স্বাধীনতার স্লোগান সম্বলিত পতাকা উড়ানোর দায়ে তাকে এই সাজা দেয়া হয়। ২০১৯ সালে হংকংয়ে বিতর্কিত এই আইনটি প্রণয়ন করা হয়। এরপরে এই মামলার অধীনে শতশত মামলা হলেও ইং কিটই প্রথম ব্যাক্তি হিসেবে সাজাপ্রাপ্ত হলেন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে জানানো হয়, শুক্রবার তার সাজা ঘোষণা করা হলেও গত মঙ্গলবারই তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। তার উড়ানো পতাকায় লেখা ছিল, 'হংকং স্বাধীন করো এবং এটি আমাদের সময়ের বিপ্লব'। এছাড়া তিনি পুলিশের মধ্যে মটোরসাইকেল নিয়ে ঢুকে যান।
তার এসব কর্মকাণ্ডকে সন্ত্রাসবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শুক্রবারের এই রায়ের দিকে পুরো পৃথিবীরই চোখ ছিল। এ রায় থেকে ধারণা করা যাচ্ছে বিতর্কিত এই আইনের অধীনে সাজার পরিমাণ কেমন হতে চলেছে।
সমালোচকরা প্রথম থেকেই বলে আসছেন, এই আইন হংকংয়ের স্বায়ত্বশাসনকে খর্ব করছে এবং এখন সহজেই অধিকারকর্মীদের সাজা দেয়া সম্ভব হবে। যদিও বেইজিং বারবার স্পষ্ট করেছে যে, এই আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে শুধুমাত্র হংকংয়ের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের জন্য।
এর আগে ইং কিটের ট্রায়াল চলে ১৫ দিন ধরে। তার দেয়া স্লোগান এখন হংকংয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আদালত তার রায়ে জানিয়েছে, কিটের দেয়া স্লোগান দেশে বিচ্ছিন্নতাবাদ সৃষ্টি করতে পারে এবং এ জন্য তাকে সাজা পেতে হবে। তবে এই সাজার রায়ের প্রতিবাদ জানিয়েচেহ্ন হংকংয়ের মানবাধিকার কর্মীরা। একজন মানবাধিকার নিয়ে সক্রিয় আইনজীবী বিবিসিকে জানান, কিটকে যে সাজা দেয়া হয়েছে তা অপ্রয়োজনীয়ভাবে বেশি। তার যে অপরাধ তাতে হংকংয়ে অল্প কয়েক বছরের সাজা হতে পারতো। মূলত পুলিশের কাজকে চ্যালেঞ্জ করা নয়, তার স্লোগানের জন্যেই তাকে এতো দীর্ঘ সাজা পেতে হচ্ছে। তাই এখানে আসল ভিক্টিম হচ্ছে 'মত প্রকাশের স্বাধীনতা'।