দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া লঞ্চঘাট থেকে বাউফলের বগী বাজার পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ও বহরমপুর ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। জানা গেছে, অবিরাম বর্ষণ, তেঁতুলিয়া নদীর পানি ৪/৫ ফুট বৃদ্ধি ও প্রবল ঢেউয়ে প্রতিদিন বেড়িবাঁধের ওই এলাকা ভাঙছে। বেড়িবাঁধের অংশ ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী আনিচ হাওলাদার জানান, প্রতিদিন নদীর পানির চাপে ভেঙে পড়ছে বাঁধের মাটি। স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাহাবুদ্দিন জানান, কখন বাঁধের পুরো অংশ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে প্লাবনের সৃষ্টি করে এ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে বাঁশবাড়ীয়া এলাকার মানুষ। বাঁশবাড়ীয়া লঞ্চঘাট এলাকার ইউপি সদস্য কবির হোসেন জানান, বেড়িবাঁধের ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যেকোনো মুহূর্তে পুরোপুুরি বেড়িবাঁধের বাকি অংশটুকু ভেঙে লোকালয়ে তেঁতুলিয়া নদীর পানি ঢুকে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে জনজীবনে। বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম জানান, ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ দলে দলে তার কাছে আসছেন ভাঙন বন্ধ করার জন্য। তিনি আরো জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর পরে তারা বালির বস্তা ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছিল কিন্তু এখনো তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালেহ আহমেদ জানান, বাঁশবাড়ীয়া লঞ্চঘাট থেকে ৩০০ মিটার বেড়িবাঁধ ভাঙন প্রতিরোধে সংস্কারের প্রস্তাবনা রয়েছে।