× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চিলমারীতে নন-ওয়েজ প্রকল্পে নয়ছয়

বাংলারজমিন

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
৩১ জুলাই ২০২১, শনিবার

চিলমারীর নন-ওয়েজ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কাগজ কলমে থাকলেও বাস্তবে বেশির ভাগ প্রকল্পের অস্তিত্ব নেই। অভিযোগ উঠেছে কাজ না করেই পকেটভারী করতে ব্যস্ত সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির নন-ওয়েজ প্রকল্পের অধীনে ১২টি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। ৬টি ইউনিয়নে ১ম পর্যায়ে ৬টি প্রকল্পের অধীনে ৬ লাখ ৭ হাজার ৮৫৪ টাকা এবং ২য় পর্যায়ে ৬টি প্রকল্পের অধীনে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫৪ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। অজ্ঞাত কারণে কাজ না করেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। সরজমিন জানা গেছে, রমনা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রমনা স্টেশন হতে আমজাদের বাড়ি যাওয়ার রাস্তার দক্ষিণ পার্শ্বে গাইড ওয়াল নির্মাণে ৯৩ হাজার ২১০ টাকা ও একই রাস্তায় ২য় পর্যায়ে প্যালাসাইডিং নির্মাণ বাবদ ৭৪ হাজার ৪৯৯ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত তেমন কোনো কাজ চোখে পড়েনি।
ইউনিয়নে কড়াইবরিশাল বাজারে ল্যাট্রিন নির্মাণের জন্য ৫৬ হাজার ৮০১ টাকা ও ঢুষমারা গ্রামের মসজিদের মাঠে প্যালাসাইডিং নির্মাণে ৩৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি বলে জানালেন এলাকার চাঁনমিয়া, নয়ফুল, শাহিনসহ এলাকাবাসী। ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও নির্মাণ হয়নি অষ্টমীরচর ইউনিয়নের গোলায়ীপাড়া জামে মসজিদ হইতে উত্তর দিকে শামসুলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় প্যালাসাইডিং। একই অবস্থা নয়ারহাট ও রানীগঞ্জ ইউনিয়নেও। নয়ারহাট ইউনিয়নে রিং কালভার্ট ও ইউড্রেন নির্মাণের জন্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও নেই প্রকল্পের কোনো অস্তিত্ব। তবে কাজ করা হবে বলে জানান, সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য। একই অভিযোগ রানীগঞ্জ ইউনিয়নেও ১ম পর্যায়ে রাস্তা মেরামত ও প্যালাসাইডিং নির্মাণে ৭৯ হাজার টাকা ও ২য় পর্যায়ে ১নং ওয়ার্ডে বাঁধের পূর্ব পার্শ্বে মনজুর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় প্যালাসাইডিং নির্মাণে ৫৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি বলে জানান এলাকাবাসী। এদিকে থানাহাট ইউনিয়নে প্রকল্পের কাজ হলেও কাজে অনিয়ম হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। মাসের পর মাস এবং সময় পেরিয়ে গেলেও কাজ সমাপ্ত বা কাজ না করেই পুরো টাকা আত্মসাতের চেষ্টা ও তদবির চলছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। কর্মসৃজন প্রকল্পের মাটি ভরাটের কাজেও ব্যাপক অনিয়ম আর দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে বলেও জানান, এলাকাবাসী। প্রকল্পের বিষয় অবগত নন জানিয়ে চিলমারী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান গওছল হক বলেন, বিষয়টি ইউনিয়ন সচিব জানেন। কিছু সমস্যার কারণে কাজ হয়নি তবে দ্রুত কাজ করা হবে বলে জানালেন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কোহিনুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হলে দ্রুত কাজ করবেন বলে তারা জানিয়েছেন। কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, কাজ না করার কোনো সুযোগ নেই। সরজমিন ঘুরে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর