× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘শেষ বিদায়ের সারথী’

বাংলারজমিন

হোসাইন মুহাম্মদ আরফাত, রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে
৩১ জুলাই ২০২১, শনিবার

রাউজানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের কাফন-দাফন, সৎকার করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘শেষ বিদায়ের সারথী’। উপজেলার কোথাও কোনো নারী-পুরুষ মারা গেলে স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে কাফন-দাফন, সৎকারের ব্যবস্থা করছেন। হিন্দু ও মুসলিম যেকোনো ধর্মের লোক মারা গেলে ছুটে যাচ্ছেন তারা। ইতিমধ্যে স্বেচ্ছাসেবকদের কাজে পুরো রাউজানে আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রশংসায় ভাসছেন ‘শেষ বিদায়ের সারথী’ টিম। জানা যায়, উদ্যোগটি নিয়েছেন স্থানীয় এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী। আর স্বেচ্ছাসেবকদের দেখভাল ও সার্বিক সহযোগিতা করছেন পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ। স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্যরা গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ২০ জনের কাফন-দাফন ও সৎকার কাজ সম্পন্ন করেছেন।
কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে টিমের সদস্যরা কাজ করেন। এর জন্য রাউজানের হিন্দু ও মুসলিম তরুণ যুবকদের টিমে রাখা হয়েছে। করোনায় মুসলিম কেউ মারা গেলে কাফন-দাফন সম্পন্ন করেন মুসলিম যুবকরা। অন্যদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক মারা গেলে হিন্দু যুবকরা তাদের সৎকার ও দাহ সম্পন্ন করেন। পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী গঠিত ‘শেষ বিদায়ের সারথী’ মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করছে। করোনায় যেখানে আপন মানুষ দূরে সরে যাচ্ছে সেখানে স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্যরা লাশ দাফন ও দাহ করছেন। আমরা চাই মানুষের বিপদে পাশে থাকতে। উল্লেখ্য যে, এই সেচ্ছাসেবক টিম ‘শেষ বিদায়ের সারথী’ নামকরণের আগে ‘আশার আলো’ নামে বিগত করোনার কঠিন সময়ে ৭৪টি লাশ দাফন ও সৎকার সম্পন্ন করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর