ঝালকাঠির নলছিটিতে এক হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি সাইদুল ইসলাম মন্টু। মোল্লারহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. শহীদুল্লাহ’র সঙ্গে ফটোসেশন করেছেন। নিয়মিত যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে। এরপরও আসামি খুঁজে পাচ্ছে না থানা পুলিশ।
জানা গেছে, গত ২৬শে জুন উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম মন্টুর বিরুদ্ধে নলছিটি থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা হয়। এরপর থেকে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশের তালিকায় এখনো পলাতক। আবার পুলিশ কর্তাদের সঙ্গেও রয়েছে তার একাধিক ছবি। সর্বশেষ গত ২৭শে জুলাই বেলা ১১টার দিকে মোল্লারহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে পরিদর্শক মো. শহীদুল্লাহ’র সঙ্গে ফটোসেশন করেন তিনি।
ছবিটি ফেসবুকে আসার পর এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, পরিদর্শক মো. শহীদুল্লাহ’র সঙ্গে ফটোসেশন করা ওই আসামিসহ ১৫-১৬ জন লোক গত ২২শে জুন বিকালে নির্বাচন সংক্রান্ত বিরোধের জেরে উপজেলার ঝাহাতলা বাজারের ব্যবসায়ী জলিল সিকদার ও তার পরিবারের লোকজনের ওপর দেশীয় অস্ত্র দা, লাঠিসোটা ও লোহার রড নিয়ে হামলা চালায়। বেদম মারধরের একপর্যায়ে জলিল সিকদারের ভাই নাসির সিকদার ও মেয়ে মুক্তা আক্তারের মাথায় দা দিয়ে কোপ দেয়। এতে ওই দুজন গুরুতর জখম হন। পরে মেম্বার মন্টুর নেতৃত্বে জলিল সিকদারের দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এ ঘটনায় জলিল সিকদারের স্ত্রী মাকসুদা বেগম বাদী হয়ে গত ২৩শে জুন থানায় মামলা করেন। বাদী মাকসুদা বেগম অভিযোগ করেন, আসামিরা এলাকায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় তার স্বামী জলিল সিকদার বাদী হয়ে ২৯শে জুন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। মামলার প্রধান আসামির সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা ফটোসেশন করায় তিনি ভীত, শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ওই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে মোল্লারহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. শহীদুল্লাহ জানান, মেম্বার সাইদুল ইসলাম মন্টু মামলার আসামি এটা তার জানা ছিল না।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) প্রশান্ত কুমার দে জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।