গণটেস্ট ও কঠোর কোয়ারেন্টিনের পরেও করোনার আতুঁড়ঘর হিসেবে পরিচিত চীন করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট রুখতে পারেনি । গত ৬ মাসে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কমে গিয়েছিল চীনে। সম্প্রতি নানজিং এয়ারপোর্টের নয়জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেখা দিয়েছে নতুন উদ্বেগ। চীনের কয়েকটি প্রদেশে ইতিমধ্যেই ছড়িয়েছে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। আর ডেল্টা সংক্রমণের কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সবচেয়ে দুশ্চিন্তার খবর হলো- যাদের মাধ্যমে চীনে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়েছে তারা প্রত্যেকেই করোনার দুই ডোজ টিকা নিয়েছিলেন। ফলে নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে চীনের টিকা কতটা কার্যকর, সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।
কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ, টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধি আর কঠোর লকডাউনের মাধ্যমে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট রুখতে চেয়েছিলো চীন, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
এয়ারপোর্টের কর্মীরা করোনা আক্রান্ত হবার পর চীনের জিয়াংশু প্রদেশে ১৭১ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। সেখান থেকে চীনের চারটি প্রদেশে ইতিমধ্যেই ছড়িয়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। সংক্রমণের কারণে জিয়াংশু প্রদেশে লকডাউনের পাশাপাশি নানজিং শহরে জিম, লাইব্রেরি, ক্যাফে, সিনেমা হল, বার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনে প্রথম ছড়ায় এই ভাইরাস।
পরবর্তীতে নানা সুরক্ষা বিধি মেনে সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছিল তারা। কিন্তু এবার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে ছড়াচ্ছে নতুন আতঙ্ক। করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য চীন যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে তাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট । এর মধ্যে বেইজিংয়ে সংক্রমণ ঘটেছে ডেল্টার। সেখানে করোনা আক্রান্ত এক দম্পতির সংস্পর্শে আসা ৬৫০ জনকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। এবার যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তাই এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে চীনের লড়াই কতটা কার্যকর সেটা সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে।