তিনি ঘোষণা করেছেন, এবার থেকে প্রতি দুমাসে একবার দিল্লি আসবেন, কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে ২০২৪ সালে একটি সার্বিক বিরোধী জোট তৈরি করার কাজে কিছুটা হয়ত সলতে পাকানো সম্ভব হয়েছে, জোটের নান্দীমুখ বললেও তারা মনে করছেন এখনও অনেক পথ যেতে হবে। এবারের দিল্লি সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক প্রতিশ্রুতি পেলেও, বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৪-এর বিরোধী ঐক্যর রূপরেখা এখনও রচনা করতে পারেন নি। সোনিয়া গান্ধী এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে ঠিকই। কিন্তু, এই বৈঠককে নিতান্তই প্রাথমিক ও সৌজন্যমূলক বলে বর্ণনা করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সোনিয়ার সঙ্গে মমতার সাক্ষাৎকারের পরদিনই ত্রিপুরায় সাত হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতার তৃণমূলে যোগদান দু দলের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কিনা তা নিয়েও সন্দিহান রাজনৈতিক পন্ডিতরা। তবে, সোনিয়া-মমতা বৈঠকের পর রাহুল গান্ধীর ডাকা ১৮ সংসদীয় বিরোধী দলের জোট বৈঠকে তৃণমূলের সৌগত রায়ের যোগদান কিঞ্চিৎ আশার আলো সৃষ্টি করেছে কংগ্রেস-তৃণমূল সম্পর্কে। রাহুল গান্ধীর ডাকা প্রথমদিনের বৈঠকে তৃণমূলের অনুপস্থিতি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। সম্ভবত সোনিয়ার সঙ্গে বৈঠকের আগে রাহুলের ডাকা বৈঠকে তৃণমূলের প্রতিনিধি পাঠাতে চাননি মমতা।
এবারের সফরে মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ভ্যাকসিন এবং রাজ্যের নাম পরিবর্তনের আশ্বাস নিয়ে ফিরেছেন মমতা। মন্ত্রী নীতিন গডকরীর সঙ্গে বৈঠকে ত্রিতল রাস্তার আশ্বাসও মমতা পেয়েছেন। কিন্তু, সার্বিক বিরোধী জোটের আশ্বাস- তার জন্যে অনেক পথ হাঁটা বাকি।