× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রবাসী জামিলাকে হয়রানি ওসমানীতে বিমানের দু’কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১ আগস্ট ২০২১, রবিবার

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লন্ডন যাত্রী জামিলা চৌধুরীকে হয়রানির ঘটনায় বিমানের দু’কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিমানের জনসংযোগ শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘দায়িতপ্রাপ্ত কর্মীদের মধ্যে একজনকে অপেশাদারিত্বমূলক আচরণের জন্য সাময়িক বরখাস্ত এবং অপরজনকে সিলেট স্টেশন থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’ ঘটনাটি গত বুধবারের। ওইদিন লন্ডনগামী বিমানের যাত্রী ছিলেন সিলেটের জামিলা চৌধুরী। বিমানের (বিজি-২০১) সিলেট-লন্ডন সরাসরি ফ্লাইটে যুক্তরাজ্য যাওয়ার জন্য সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান প্রবাসী জামিলা চৌধুরী। তিনি তিনটি লাগেজে অতিরিক্ত ওজনের মালামাল নিয়ে গেলে বিমান কর্মকর্তারা অতিরিক্ত ওজনের মালামালের জন্য ফি দাবি করেন। প্রায় সোয়া লাখ টাকা আসে ওই মালামালের ফি।
এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা ও অপেক্ষার পর জামিলা চৌধুরীকে রেখেই বিমান ছেড়ে চলে যায়। পরে প্রবাসী জামিলা চৌধুরী ফেসবুক লাইভে বিমানের কর্মকর্তাদের অসৌজন্যমূলক আচরণের কথা তুলে ধরেন। এ নিয়ে তোলপাড় চলছে সিলেটে। ফেসবুক লাইভে জামিলা চৌধুরী দাবি করেন ‘তার পিতার অসুস্থতার খবর পেয়ে দেশে এসেছিলেন। ফেরার পথে তিনটি লাগেজে নির্ধারিত ওজনের চেয়ে অতিরিক্ত ওজন হয়ে যায়। এক পর্যায়ে তার কাছে বিমানের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ২৬ হাজার টাকা দাবি করেন।’ তিনি বলেন- ‘চেকিংয়ের নামে বিমান বাংলাদেশ কর্মকর্তারা তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। ২৬ হাজার টাকা না দেয়াতে তারা তাকে এমন হয়রানি করে ফ্লাইট মিস করান। তারা তার ইমোশনটাকে নিয়ে খেলা করেছেন। এমনকি তাকে পাগল মেয়ে বলেও সম্বোধন করেন।’ লাইভে তিনি আরও বলেন- ‘যুক্তরাজ্যে সন্তানদের রেখে আমার অসুস্থ বাবাকে দেখতে আসি। মা-বাবা চলে গেলে এই বাংলার মাটিতে আসবো না। আমাকে ওরা লাঞ্ছিত করেছেন। আমি এত লাঞ্ছিত হইছি, শুধু জায়নামাজে বসে আল্লাহকে বলেছি।’ জামিলা চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন- ওইদিন তিনি লন্ডন যাওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়ে বিমানের কাউন্টারে পৌঁছেন। এ সময় দায়িত্বরত কর্মকর্তা তার কাছে লোকেটর ফরম চান। তখন নিজ মোবাইলে লোকেটর ফরমটি দেখালেও প্রিন্ট কপি চান এক কর্মকর্তা। বারকোডযুক্ত লোকেটর ফরমে প্রিন্ট কপি বাধ্যতামূলক হতে পারে না- এমন যুক্তি উপস্থাপন করলেও বিমানের কর্মকর্তারা তার কথা রাখেননি। পরে তিনি প্রিন্ট বের করতে গেলে লাইনে অতিরিক্ত মানুষ থাকার কারণে তার সময় ব্যয় হয়। লোকেটর ফরম প্রিন্ট নিয়ে এসে একটি লাগেজ নিয়ে বোর্ডিং পাস দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
 কিন্তু বিমান কর্মকর্তারা তার কথা না শুনে কাউন্টার বন্ধ করে চলে যান। ঘটনায় মর্মাহত হন জামিলা চৌধুরী। বিমানের কর্মকর্তাদের অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনাটি তিনি ফেসবুক লাইভে তুলে ধরেন। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। লন্ডন ও সিলেটে বিষয়টি নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠে। ঘটনার জন্য গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বিমানের একটি প্রতিনিধিদল জামিলা চৌধুরীর খাদিমপাড়ার বাসায় গিয়ে দেখা করেন। এবং পরবর্তী ফ্লাইটে তাকে লন্ডনে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে বলে আশ্বস্ত করেন। এ সময় জামিলা চৌধুরী বিমানের প্রতিনিধিদলের কাছেও তার ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন। ঘটনার বিচার দাবি করেন। বিমানের ওসমানী বিমানবন্দরের ম্যানেজার চৌধুরী ওমর হায়াত মানবজমিনকে জানিয়েছেন, করোনার জন্য লোকেটরের হার্ড কপি যাত্রীদের কাছ থেকে  নেয়া হয়। এ কারণে প্রিন্ট কপি চাওয়া হয়েছিলো। তিনি বলেন, পরবর্তী ফ্লাইটে ওই যাত্রীকে লন্ডন যাওয়ার জন্য বিমান কর্তৃপক্ষ সব ধরনের সহযোগিতা করেছে।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর