করোনা প্রতিরোধে সারা দেশে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন চলছে। আগামী ৫ই আগস্ট শেষ হবে এর মেয়াদ। তবে এরই মধ্যে আজ থেকে সারা দেশে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই ঘোষণার পর থেকে ঢাকায় ফিরছে মানুষ। শনিবার সকাল থেকেই রাজধানীতে প্রবেশমুখগুলোতে ছিল মানুষের ভিড়। প্রবেশমুখগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি এড়িয়ে হেঁটে, রিকশায় ও ভ্যানে করে ঢুকছে মানুষ। এদিন সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে প্রচুর পরিমাণ প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পিকআপ ভ্যান, ছোট-বড় ট্রাক চলাচল করেছে। এ ছাড়া পুরো রাস্তাই যেন ছিল মোটরসাইকেল এবং রিকশার দখলে।
কোনো চেকপোস্টের পেছনে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হতেও দেখা গেছে। তবে কমে গেছে চেকপোস্টের সংখ্যা। চলমান কঠোর লকডাউনের প্রথম কয়েক দিন বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। বর্তমানে সেসব চেকপোস্ট অনেকটাই শিথিল হয়ে গেছে। আবার কোনো সড়কে ৩-৪টি চেকপোস্ট থাকলেও বর্তমানে সেখানে দু’-একটি চেকপোস্ট দেখা গেছে। তবে কোথাও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চললে কেবল সেখানেই যানবাহন ও জনচলাচলে কঠোরতা লক্ষ্য করা গেছে। কিছু কিছু চেকপোস্টে লকডাউনে বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চাওয়ার চেয়ে ট্রাফিক পুলিশকে গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মামলা দিতে দেখা গেছে।
এদিকে মার্কেট-শপিংমলগুলো বন্ধ থাকলেও খুলে গেছে অলি-গলির প্রায় সব দোকান। এমনকি বিকালের পরে এসব স্থানে আগের মতোই বসছে চটপটি-ফুসকাসহ নানা ধরনের খাবারের দোকানও। রাজধানীর মিরপুর, বিজয় সরণি, তেজগাঁও, ফার্মগেট, বাংলামোটর, মগবাজার, পল্টন ও মতিঝিল এলাকা ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে। সরজমিন দেখা যায়, উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর ঢাকায় প্রবেশপথ আমিনবাজার ও গাবতলীতে পুলিশের কঠোর নজরদারি ছিল। গাড়ি ও মোটরসাইকেল তল্লাশি সবই চলছে। কিন্তু চেকপোস্টের পাশ দিয়ে হেঁটে আসছেন দূর-দূরান্ত থেকে ঢাকায় ফেরা যাত্রীরা। প্রবাসী শ্রমিক শামীম হোসেন বলেন, রিকশায় সাভার থেকে হেমায়েতপুর আসলাম ৩০ টাকা দিয়ে। পরে আরেক রিকশায় আমিনবাজার আসলাম ৩০ টাকা ভাড়া দিয়ে। এখন হাতিরঝিল যাবো রিকশায় সাড়ে ৩০০ টাকা ভাড়া চাইছে। ঢাকায় আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাল আমার ফ্লাইট। এ জন্য ঢাকায় আসছি।