হঠাৎ করেই পোশাক কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণায় নানা ভোগান্তি মাথায় নিয়ে আজও দূর-দূরান্তের পোশাক কর্মীরা আসছেন কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে। যারা গতকাল এসেছেন তারা সকাল থেকে কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন। আবার যারা আজ বিলম্বে এসে পৌঁছেছেন তারাও বিলম্বেই কারখানায় যাচ্ছেন।
শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুরের লক্ষীপুরা, ভোগড়া, কোনাবাড়ী, মালেকের বাড়ি, বোর্ড বাজার, বড় বাড়ি, মাওনাসহ বিভিন্ন এলাকায় কারখানার শ্রমিকরা তাদের নিজস্ব কারখানায় ঢুকেছেন দলে দলে। ঢোকার পথে অনেক কারখানায়ই শ্রমিকরা গাদাগাদি করে ঢুকেছে। অধিকাংশ কারখানার নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় কেউ কেউ কয়েক কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে আবার সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক এ ধরনের হালকা যানবাহন করে কারখানায় গিয়ে পৌঁছেছেন।
কারখানার ভেতরে ঢোকার পথে বা বের হওয়ার পথে গেইটে কিংবা হালকা যানবাহনে চড়ে আসা যাওয়ার পথে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে চরমভাবে। যদিও অনেক কারখানার ভেতরে একটু দূরত্বে বসিয়ে এবং স্বাস্থ্যবিধি বা সরকারি নির্দেশনা মেনে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
দূর দূরান্ত থেকে আসা শ্রমিকরা বলছেন, কর্মস্থলে ফেরার জন্য তাদের অপর্যাপ্ত গণপরিবহণের অভাবে নানা ধরনের হালকা যানবাহন এর পাশাপাশি ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, এমনকি কাভার্ডভ্যানেও আসতে হয়েছে। আসার পথে চার পাঁচ গুণ ভাড়া গুনতে হয়েছে সবাইকে। চাকরি বাঁচানো কিংবা পেটের তাগিদেই করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আর ভোগান্তি মাথায় নিয়ে তারা আসতে বাধ্য হয়েছেন।
মালিক- কর্মকর্তারা জানান, দূর-দূরান্তের সবাইকে আসার বিষয়ে কড়াকড়ি না থাকলেও পোশাক কারখানা খুলে দেয়ার খবরে তারা নিজেদের মতো করে ছুটে আসছেন। খুলে দেয়ার প্রথম দিনে অধিকাংশ কারখানায় কমপক্ষে ৬০/৭০ ভাগ শ্রমিক এসে তাদের কাজে যোগ দিয়েছেন।