× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

৫৫ বছর পর...

এক্সক্লুসিভ

কূটনৈতিক রিপোর্টার
২ আগস্ট ২০২১, সোমবার

দীর্ঘ ৫৫ বছর পর ঐতিহ্যবাহী চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটে বাংলাদেশ-ভারত পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলো। রোববার ৪০টি ওয়াগনে আনুমানিক ২৫০০ টন পাথর এসেছে পুনঃস্থাপিত ওই রেলপথে। ভারতীয় হাইকমিশন জানিয়েছে- দেশটির উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ডামডিম স্টেশন থেকে পাথর বোঝাই প্রথম মালবাহী ট্রেনটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে ’৬৫ অবধি ভারত ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে সাতটি রেল লিংক সচল ছিল। চিলাহাটি-হলদিবাড়ি ছিল তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রুট। বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চারটি রেল লিংক সচল রয়েছে। এগুলো হলো- পেট্রাপোল (ভারত)- বেনাপোল (বাংলাদেশ), গেদে (ভারত)- দর্শনা (বাংলাদেশ), সিংহাবাদ (ভারত)-রহনপুর (বাংলাদেশ) এবং রাধিকাপুর (ভারত)-বিরল (বাংলাদেশ)। ’৬৫-পূর্ব রেল লিংকগুলো পুনরায় কার্যকর করতে উদ্যোগী হয় বাংলাদেশ ও ভারত সরকার।
বিশেষত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর এতে গতি পায়। তাদের নির্দেশনায় স্ব স্ব দেশের রেলপথ মন্ত্রণালয় রেল সংযোগগুলো পুনঃস্থাপন তথা ব্যাপক সংস্কারের কাজ হাতে নেয়। ২০২০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর পুনঃস্থাপিত হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল লিংকটি সরকার প্রধান পর্যায়ের ভার্চ্যুয়াল দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলনে ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে উদ্বোধন করেন। হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল সংযোগটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ৫ম রেল সংযোগ যা ২০২১ সালের ১লা আগস্ট থেকে কার্যকর হলো। এই রেলপথ দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে রপ্তানিযোগ্য পণ্য পরিবহন হবে। পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে পাথর ও বোল্ডার, খাদ্যশস্য, তাজা ফল, রাসায়নিক সার, পিয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, ফ্লাই অ্যাশ, ক্লে, চুনাপাথর, কাঠ ইত্যাদি। বাংলাদেশ থেকে ভারতে সকল রপ্তানিযোগ্য পণ্যই অনুমোদিত জানিয়ে ভারতীয় হাইকমিশন আশা করছে, নতুন করে সচল হওয়া ওই রেলসংযোগ ভারত-বাংলাদেশ যোগাযোগ তথা সার্বিকভাবে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে শক্তিশালী করবে। এটি আঞ্চলিক বাণিজ্য সমপ্রসারণ এবং এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে গতিশীল করতে প্রধান বন্দর ও স্থল বন্দরগুলোতে রেল নেটওয়ার্কের প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি করবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর