× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

উলিপুরে কর্মসৃজনের ৩৫ লাখ টাকা হরিলুটের অভিযোগ

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম থেকে
২ আগস্ট ২০২১, সোমবার

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় ব্রহ্মপূত্র নদ বেষ্টিত দ্বীপ ইউনিয়ন সাহেবের আলগায় কর্মসৃজনের ৮৮৬ শ্রমিকের ৩৫ লাখ টাকা হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শ্রমিকরা প্রতিবাদ করলে উলিপুর থানা ও নামাজের চর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা শ্রমিকদের শান্ত করে। অভিযোগ উঠেছে শ্রমিকদের বিতরণের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আয়োজন করা হয় ভূরিভোজের। গত শনিবার সকালে ইউনিয়নের চরদুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। উলিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নে ২০২০-২১ অর্থ বছরে কর্মসৃজন কর্মসূচি (মঙ্গা) প্রকল্পে ৮৮৬ জন শ্রমিক রাস্তাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক মাটির কাজ করেন। শ্রমিকরা দু’দফায় ৮০ দিন কাজ করেন। ২০০ টাকা করে ৮৮৬ জন শ্রমিকের ৮০ দিনের পাওনা হিসেবে ১ কোটি ৪১ লাখ ৭৬ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। প্রতি শ্রমিকের জন্য ১৬ হাজার টাকা বরাদ্দ তোলা হলেও বিভিন্ন খরচের কথা বলে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা করে কর্তন করার সিদ্ধান্ত জানালে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়।
ফলে সকাল ৮টায় বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হলেও কয়েক দফায় বিতরণ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় শ্রমিকরা প্রতিবাদ করলে ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিক আলী মণ্ডল, পরিষদের মেম্বারগণ ও তাদের লোকজনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় সেখানে উপস্থিত উলিপুর থানা থেকে আগত ৮ জন পুলিশ সদস্য ও ওই চরে অবস্থিত নামাজের চর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা শ্রমিকদের শান্ত করে। শ্রমিক কানচু মিয়া, পরীভানু, আমিরজান, সোনাভানু অভিযোগ করেন আমগো ৮০ দিন কামকাজ করছি। মেম্বর-চেয়ারম্যান ১৬ হাজার টেকা না দিয়া ১২ হাজার টেকা দিসে। আমাগো হের বিচার চাই। উপকারভোগী ৫নং ওয়ার্ডের জবেদা খাতুন জানান, চেয়ারম্যান ও মেম্বার আমাকে জোর করে ১২ হাজার টাকা দিলো। আমি আল্লাহ’র কাছে বিচার দিয়েছি। ৪ হাজার টাকা নেয়ার বিষয় জানতে চাইলে সাহেবের আলগা ইউপি সদস্য কামাল হোসেন জানান, বিভিন্ন খরচ বাবদ এই টাকা নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সাহেবের আলগা ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিক মণ্ডল বলেন, অগ্রণী ব্যাংকের লোকজন ও পিআইও টাকা বিতরণ করেছেন। টাকা কম দেয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। অভিযোগ প্রসঙ্গে উলিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজুদৌলা জানান, টাকা বিতরণের জন্য ইউএনও সাহেব আমাকে এবং ব্যাংকের ম্যানেজারকে (অগ্রণী) ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলেন। টাকার অঙ্ক বেশি থাকায় পুলিশ বিভাগের সহযোগিতা নেয়া হয়। শ্রমিকদের টাকা কেটে নেয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। এ ব্যাপারে নামাজের চর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুর রাজ্জাক জানান, সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে উলিপুর থানা পুলিশ ও তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ উপস্থিত থেকে বিতরণ কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন। উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. নুরে জান্নাত রুমি জানান, শ্রমিকদের হাতে টাকা তুলে দিয়েছেন। এরপর তারা কি করেছে সেটা আমি জানি না। ৪ হাজার টাকা কর্তনের বিষয়ে কোনো উপকারভোগী আমার কাছে লিখিত কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর