× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গাজীপুর ছাত্রলীগ নেতা মাসুম হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে
২ আগস্ট ২০২১, সোমবার

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বহুল আলোচিত ছাত্রনেতা সৈয়দ মাসুম আহাম্মেদ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও হত্যায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। হত্যার সঙ্গে জড়িত স্থানীয় আবুল কালাম (৪১), শফিকুল ইসলাম (৩২) নাজির হোসেন জয় (২৯) ও সাইফুল ইসলাম (৪০)কে পিবিআই গত ২৮শে জুলাই গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনায় জড়িত অপর আসামি হারুন অর রশিদ (৩৮)কে গত ৩০শে জুলাই কালিয়াকৈর থানাধীন ফুলবাড়ীয়া এলাকা হতে র‌্যাব-১ গ্রেপ্তার করে।
শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী সৈয়দ মাসুম আহাম্মেদ (২৭)কে গত ২২শে জুলাই রাতে দুষ্কৃতকারীরা হত্যা করে। উপজেলার বেড়াইদেরচালা এলাকায় তাদের বসতবাড়িতে ঢুকে প্রত্যেকটি ঘরে বাইরে সিটকানি আটকে ভিকটিমের কক্ষের তালা ভেঙে তার ঘরে প্রবেশ করে। ভিকটিম মাসুম ঈদুল আজহার দিন থাকায় বাইরে থেকে গভীর রাতে বাড়িতে প্রবেশ করা মাত্রই দুষ্কৃতকারীরা মাসুমকে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে মারাত্মক জখম করে। এক পর্যায়ে দু®ৃ‹তকারীরা ভিকটিম মাসুম আহাম্মেদ (২৭)কে হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র দিয়ে মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুষ্কৃতকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এলাকার লোকজন ভিকটিমের বাড়িতে গিয়ে দরজার বাইরের সিটকানি খুলে এবং ভিকটিমকে অজ্ঞান অবস্থায় উঠানে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার ভিকটিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ঢাকায় রেফার্ড করে। পরে ভিকটিমকে রাজধানীর আগারগাঁও ন্যাশনাল নিউরো সাইন্স অব ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে। এ সংক্রান্তে ভিকটিমের চাচা মো. মোফাজ্জল হোসেন শ্রীপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৩শে জুলাই মারা গেলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া কালামকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গত ২২শে জুলাই আসামি কালাম তার সহযোগী আসামিদের সঙ্গে স্থানীয় একটি ফ্যাক্টরিতে ইলেকট্রিক তার চুরি করতে যায়, কিন্তু সিকিউরিটি গার্ড সজাগ থাকায় তারা সে রাতে তার চুরি করতে পারেনি। পরে স্থানীয় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের কারণে মারুফ ও জহিরদের নির্দেশে আসামি কালাম এবং তার সহযোগীরা ঈদের দিন রাতে ভিকটিম সৈয়দ মাসুম আহাম্মেদ বাসায় না থাকার সুযোগে তার রুমের তালা ভেঙে বিবদমান সম্পত্তির মূল কাগজপত্র চুরির জন্য পরিকল্পনা করে। পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রেপ্তারকৃত আসামি কালাম তার সহযোগী আসামিদের নিয়ে গভীর রাতে ভিকটিমের বাড়িতে প্রবেশ করে। মাসুম আহাম্মেদ তার কক্ষে না থাকার সুযোগে আসামিরা তার কক্ষের তালা ভেঙে জমির কাগজপত্র চুরি করার উদ্দেশ্যে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। ভিকটিম মাসুম আহাম্মেদ বাসায় এসে তার কক্ষের সামনে গেলে ভেতর থেকে একজন আসামি দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে ভিকটিম তাকে ধরে ফেলে। তখন অন্যান্য আসামিরা ইট দিয়ে ভিকটিমের মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকে। ভিকটিম চোর চোর বলে চিৎকার দিলে আসামিরা ভয়ে সবাই পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে আসামিরা ব্যবহৃত ৩ জোড়া সেন্ডেল ও ২টি ছাতা ফেলে রেখে যায়। গ্রেপ্তার হওয়া কালাম ও তার সহযোগী পুলিশ হেফাজতে থাকায় অন্যরা প্রত্যেকেই ঘটনাস্থলে প্রাপ্ত এবং জব্দকৃত সেন্ডেল ও ছাতা শনাক্ত করে। এছাড়াও পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদকালে অন্যরা ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে মর্মে স্বীকার করে।



অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর