ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় এক চিড়িয়াখানায় দুটি বাঘ করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন সুস্থ হয়ে উঠছে। কিভাবে তারা সংক্রমিত হলো, তা নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। কারণ, করোনা মহামারির কারণে চিড়িয়াখানাটিও ছিল বন্ধ। এ অবস্থায় বাঘ দুটি কিভাবে করোনায় সংক্রমিত হলো, তা সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। এ খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি বলছে, বাঘ দুটি সুমাত্রার বিরল প্রজাতির। সংক্রমিত হওয়ার পর তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এতে সুস্থ হয়ে উঠছে তারা। এর মধ্যে একটি বাঘের বয়স ৯ বছর।
তার নাম টিনো। ৯ই জুলাই তার শ্বাসকষ্ট, হাঁচি ও নাক দিয়ে সর্দি ঝরতে দেখা যায়। একই সঙ্গে দেখা দেয় ক্ষুধা মন্দা। এর দু’দিন পরে ১২ বছর বয়সী বাঘ হারি’রও একই লক্ষণ দেখা দেয়।
এ অবস্থায় তাদের সোয়াব নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা যায়, তারা করোনায় আক্রান্ত। রোববার জাকার্তা পার্কস ও ফরেস্ট্রি এজেন্সির সুজি মারসিতাওয়াতি এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে বাঘ দুটিকে এন্টিবায়োটিক, এন্টিহিস্টামিন, প্রদাহ নিবারণকারী ওষুধ এবং মাল্টিভিটামিন দিয়ে চিকিৎসা শুরু হয়। ১০ থেকে ১২ দিন পরে তাদের মধ্যে কিছুটা উন্নতি লক্ষ্য করা যায়। জাকার্তার রাগুনান জু’তে নিবিড় তত্ত্বাবধানে সুস্থ হয়ে উঠেছে বাঘ দুটি। মারসিতাওয়াতি বলেছেন, তাদের অবস্থা এখন ভাল। খাবারে আগ্রহ ফিরেছে। তারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
উল্লেখ্য, সুমাত্রার বাঘগুলো এখন বিপন্ন হয়ে উঠেছে। এদের প্রজাতি টিকিয়ে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়ে উঠেছে। তাদের বাসভূমি জঙ্গল কমে যাওয়ায় বড় রকম বিরূপ অবস্থার মুখোমুখি এসব বাঘ। মারসিতাওয়াতি বলেছেন, এখন এই বাঘ দুটি কিভাবে সংক্রমিত হলো, তা জানার চেষ্টা করছে সরকার। কারণ, করোনা বিধিনিষেধের মধ্যে চিড়িয়াখানা ছিল বন্ধ। এর কেয়ারটেকার বা অন্য স্টাফদের মধ্যে কোনো করোনা সংক্রমণ নন।