× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চীনে আবার সংক্রমণ, বাড়ছে উদ্বেগ

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) আগস্ট ২, ২০২১, সোমবার, ৫:৩২ অপরাহ্ন

চীনেও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। মোট ১৫টি প্রদেশ এবং মিউনিসিপ্যালিটিসে করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছে। এর ফলে নতুন করে আবার উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় মিডিয়ায় এসব নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ হচ্ছে। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি বলছে, গত ১০ দিনে সেখানে কমপক্ষে ৩০০ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটির শ্বাসযন্ত্রের রোগ বিষয়ক শীর্ষ বিশেষজ্ঞ এতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ অবস্থায় সরকার নতুন করে ভ্রমণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। পরীক্ষা করছে লাখ লাখ মানুষকে।
তবে দেশটিতে কি পরিমাণ মানুষকে পুরোপুরি টিকা দেয়া হয়েছে তা পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি। কর্তৃপক্ষ বলেছে, এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৬০ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে।
অন্য স্থানের তুলনায় চীনের এই সংক্রমণ অনেক কম। তা সত্ত্বেও সামনের মাসগুলোতে তা অনেক বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গত বছর করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চীন প্রভূত সফল হয়। তারপর নতুন করে জুলাই মাসে প্রথম নানজিং বিমানবন্দরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। রাশিয়া থেকে যাওয়া একটি বিমান পরিষ্কার করেন কর্মীরা। ওইসব কর্মীর শরীরে এই সংক্রমণ পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষ নানজিংয়ের ৯২ লাখ অধিবাসীকে পরীক্ষা করে। আরোপ করে লকডাউন। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন এসব মানুষ। অন্যদিকে সপ্তাহান্তে দৃষ্টি পড়ে জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র ঝাংজিয়াজিতে। এ স্থানটি হুনান প্রদেশের মধ্যস্থলে অবস্থিত। সেখানে অনেক মানুষকে আক্রান্ত পাওয়া যায়। নানজিংয়ের পর্যটকরা সেখানে ভ্রমণ করেছিলেন বলে মনে করা হয়। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ঝাংজিয়াজিতে একটি থিয়েটার থেকে লোকজনকে বের করে দেয়। ওই এলাকার প্রায় ৫ হাজার মানুষকে চিহ্নিত করে তাদের ওপর পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি চলছে। এরা ওই থিয়েটারে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর তারা তাদের যার যার শহরে ফিরে গেছেন। এর মধ্যে একটি পারফরমেন্সেই যোগ দিয়েছিলেন প্রায় দুই হাজার মানুষ। ঝাংজিয়াজিতে সব পর্যটন কেন্দ্র এবং বিখ্যাত স্থান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ওই শহর ত্যাগ করার আগে পর্যটকদেরকে করোনার পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।
এই ভাইরাস সেই উহান শহরে আবার পৌঁছে গেছে। ২০১৯ সালে এই শহর থেকে প্রথম করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। সেখানে পরীক্ষার পর নতুন করে সাতজনের দেহে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে। চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের জুনের পর থেকে ওই শহরে সংক্রমণ শূন্যতে নামিয়ে আনা হয়েছিল। এসব সংক্রমণকে ২০১৯ সালের উহানের পর বড় সংক্রমণ বলে অভিহিত করেছে গ্লোবাল টাইমস। করোনা নিয়ন্ত্রণে গৃহীত ব্যবস্থার ফাঁকফোকর নিয়ে আলাদা এক সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে তারা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর