দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সামরিক মহড়া নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের শক্তিধর বোন কিম ইয়ো জং। তিনি বলেছেন, আগামী মাসে এই সামরিক মহড়া হওয়ার কথা। এই মহড়া হলে তাতে দুই কোরিয়ার সম্পর্ক উন্নত করার উদ্দেশ্য নষ্ট হবে। উল্লেখ্য, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে শত্রুতা দীর্ঘদিনের। তার ধারাবাহিকতায় দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগের চ্যানেল গত বছর ধ্বংস করে দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। মাত্র কয়েকদিন আগে সেই চ্যানেল নতুন করে উন্মুক্ত করা হয়েছে। এতে দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক উন্নত হচ্ছে বলে ইঙ্গিত দেয়া হয়। কিন্তু আগামী মাসে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের বার্ষিক যে সামরিক মহড়ার কথা রয়েছে, তা নিয়ে সতর্কতা দিয়েছেন কিম ইয়ো জং।
এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
তবে কিম ইয়ো জংয়ের বিবৃতিতে শুধু দক্ষিণ কোরিয়াকে টার্গেট করা হয়েছে। এই তত্ত্বে এটাই ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যে, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বিষয়ক চ্যানেল পুনঃস্থাপন করেছে উত্তর কোরিয়া। এক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ার প্রধান লক্ষ্য হতে পারে, সিউল যেন ওয়াশিংটনকে সমঝোতার জন্য আয়ত্তে আনে। এ উদ্যোগ এমন সময়ে নেয়া হয়েছে, যখন পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কূটনৈতিক উদ্যোগ অচলাবস্থায় রয়েছে।
কিম ইয়ো জং বলেছেন, কয়েকদিন ধরে অস্বস্তিকর খবর শুনে আসছি- দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী এবং মার্কিন বাহিনী যৌথ সামরিক মহড়া দেবে। শিডিউল অনুসারে এর আয়োজন করা হবে। আমার দৃষ্টিতে এটা এক অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়। কারণ, এতে উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ নেতারা যখন তাদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা পুনঃস্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন, তখন এতে সেই ইচ্ছাশক্তিকে মারাত্মকভাবে খর্ব করবে। এতে দুই কোরিয়ার সম্পর্ক আবার ঘোলাটে হয়ে উঠতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমাদের সরকার এবং সেনাবাহিনী ঘনিষ্ঠভাবে দৃষ্টি রাখবে, দক্ষিণ কোরিয়া আগস্টে শত্রুতাপূর্ণ যুদ্ধ বিষয়ক মহড়া করে নাকি অন্য কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেয়।
উল্লেখ্য, কোরিয়া উপদ্বীপ অঞ্চলে শত্রুতা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে মহড়া দিয়ে আসছে। কিন্তু এই মহড়াকে আগ্রাসী রিহার্সেল বলে অভিহিত করেছে উত্তর কোরিয়া। জবাবে তারা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, এই মহড়া তাদের প্রতিরক্ষা বিষয়ক মহড়া, আত্মরক্ষামূলক মহড়া।