কিশোরগঞ্জে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। একই সঙ্গে বেড়েছে মৃত্যু। করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর মিছিলে প্রতিদিন যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন নাম। সর্বশেষ গত রোববার দিবাগত রাতে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, জেলায় একদিনে সর্বোচ্চ ২৯০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ৯৩ জন সুস্থ হয়েছেন।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সর্বশেষ ৮৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৯০ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। তাদের মধ্যে ভৈরব উপজেলায় সর্বোচ্চ ১০২ জন শনাক্ত হয়েছেন।
এ ছাড়া বাকি ১৮৮ জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদরে ৭৪ জন, হোসেনপুরে ২০ জন, করিমগঞ্জে ৮ জন, তাড়াইলে ৩ জন, পাকুন্দিয়ায় ৩ জন, কটিয়াদীতে ৩৪ জন, কুলিয়ারচরে ১০ জন, বাজিতপুরে ২৪ জন, ইটনায় ১ জন, মিঠামইনে ৫ জন এবং অষ্টগ্রামে ৬ জন শনাক্ত হয়েছেন। সর্বোচ্চ শনাক্তের দিনে মৃত্যুবরণ করেন ৫ জন। ৫ জনই কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। মৃত্যুবরণকারী ৫ জনের মধ্যে ৩ জন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার এবং কটিয়াদীর একজন ও পাকুন্দিয়ার একজন। কিশোরগঞ্জ সদরে ২ জন পুরুষ এবং একজন নারী। কটিয়াদীতে একজন নারী ও পাকুন্দিয়ায় একজন নারী। এ ছাড়া জেলায় নতুন সুস্থ হওয়া ৯৩ জনের মধ্যে ৬৫ জন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার, ২ জন কুলিয়ারচর উপজেলার এবং ২৬ জন বাজিতপুর উপজেলার। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৯ হাজার ৪২৭ জন শনাক্ত, ৬ হাজার ৭০০ জন সুস্থ এবং ১৫৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। বর্তমানে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ২ হাজার ৫৬৮ জন। তাদের মধ্যে ৭৯ জন হাসপাতালে ও ২ হাজার ৪৮৯ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
এদিকে জেলার করোনা চিকিৎসার একমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতাল শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে রোগীর চাপ অব্যাহত রয়েছে। সেখানে এখন ২১১ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ জন আইসিইউতে এবং ১৪ জন এইচডিইউতে রয়েছেন।