কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কামাল নামের এক লম্পটের বিরুদ্ধে। পরে ওই ধর্ষিতা বিয়ের দাবিতে কথিত প্রেমিকের বাড়িতে গেলে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। জানা গেছে, কুলিয়ারচর উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের মো. কামাল মিয়ার ছেলে নাজমুল হাসান (২৪) তার প্রতিবেশী ওই মাদ্রাসাছাত্রীর সঙ্গে ৩/৪ মাস আগে থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। ওই ধর্ষিতা নাজমুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে নাজমুল বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এই অবস্থায় কোনো উপায়ান্তর না দেখে গত শুক্রবার ওই মাদ্রাসাছাত্রী প্রেমিক নাজমুলের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে ঘটনার বিস্তারিত জানালে নাজমুলের পিতা কামাল মিয়া, মা ফাতেমা বেগম এবং দুই বোন চাঁদনী ও তারা বেগম ওই ধর্ষিতাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে সর্ব মহলে নিন্দার ঝড় ওঠে। এই অবস্থায় ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে ২ দিন চিকিৎসা দেয়া হয়।
এই ঘটনায় গত রোববার ওই ধর্ষিতা বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। কুলিয়ারচর থানার ওসি তদন্ত মো. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।