পরিবার যখন ফেলে রেখে যায় ঠিক তখন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় করোনায় মৃতদের জানাজা ও সৎকার করার কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ৭ জন আলেম। জানা গেছে, কালীগঞ্জ শহরের মাওলানা রুহুল আমীন, মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা ইয়াছিন আলী, মাওলানা ফারুক নোমানী, হাফেজ হেদায়েত উল্লাহ, হাফেজ হাবিবুর রহমান ও হাফেজ আসাদুজ্জামান মিলে ৭ সদস্যের টিম গঠন করেন। এরপর তারা আশপাশের এলাকায় করোনায় মৃত ব্যক্তিদের জানাজা ও দাফনকার্য সম্পন্ন করার কাজ শুরু করেন। স্থানীয়রা জানায়, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও মৃত ব্যক্তিদের নিজ উদ্যোগে দাফনকার্য সম্পন্ন করেন। এছাড়াও উপজেলার হিন্দু ও খ্রিস্টান ধর্মের কোনো লোক করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তাদেরও সৎকার করার জন্য কাজ করেন ওই ৭ আলেম। কালীগঞ্জ শহরের আড়পাড়া হিন্দু পরিবারের ছেলে বিমল মল্লিক করোনায় মারা গেলে তার সৎকার করে এলাকায় বেশ প্রশংসিত হন ওই ৭ আলেম। মাওলানা রুহুল আমীন বলেন, করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিকে পরিবার নিতে চায় না। এ সময় আমরা শরীয়াহ মোতাবেক জানাজা পড়িয়ে দাফনকার্য সম্পন্ন করে থাকি।
কোনো সহায়তা ছাড়া এ কাজ করে থাকি আমরা। মাওলানা ফারুক নোমানী বলেন, আমরা করোনা ও উপসর্গে মারা যাওয়া ২৩ জনকে দাফন করেছি। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় আমরা ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছি।