× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জুড়ীতে ফের চালু অবৈধ করাতকল

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে
৩ আগস্ট ২০২১, মঙ্গলবার

অবৈধ হওয়ায় করাতকলটি বন্ধ করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। কিন্তু দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ফের অবৈধভাবে করাতকলটি চালু করেছেন মালিক। জানা গেছে, জেলার জুড়ী উপজেলায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগ কর্তৃক কুলাউড়া-বড়লেখা সওজ রাস্তার পাশে মানিকসিংহ বাজারের একটি অবৈধ করাতকল (স’ মিল) বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে বছর না ঘুরতেই এর মালিক করাতকলটি ফের চালু করেছেন। অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগের যোগসাজশে অবৈধ করাতকলটি পুনরায় চালু করা হয়েছে। তবে স্থানীয় বন কর্মকর্তা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বাধা দেয়া সত্ত্বেও জনৈক লতিফ খাঁ বন বিভাগের অনুমতি না নিয়েই করাতকল স্থাপনের কার্যক্রম চালান। অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে এখন বন আইনে মামলা করা হবে। জানা গেছে, জুড়ীর হামিদপুর গ্রামের লতিফ খাঁ প্রায় ৭ বছর পূর্বে কুলাউড়া-বড়লেখা সওজ রাস্তার মানিকসিংহ বাজারে বিধিবহির্ভূতভাবে একটি করাতকল স্থাপন করেন।
সংরক্ষিত বনাঞ্চলের অভ্যন্তরে করাতকল বা স’ মিল বসানোর নিয়ম না থাকলেও রহস্যজনকভাবে তিনি ব্যবসা চালিয়ে আসসিলেন। গত বছরের অক্টোবর মাসে সিলেট বিভাগীয় বন সংরক্ষণ কর্মকর্তারা সরজমিন পরিদর্শন করে বন বিভাগ স’ মিলটির কাগজের সঙ্গে মালিকের ভূমির কাগজের মিল পায়নি। করাতকলটি বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূমিতে স্থাপনের প্রমাণ পায়। এরপর বন বিভাগ স’ মিলটি অবৈধ ঘোষণা করে মালিককে তা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। প্রায় ১ বছর বন্ধ রাখার পর লতিফ খাঁ বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই অদৃশ্য কারণে আগের স্থান থেকে কয়েক গজ পশ্চিমে করাতকলটি স্থাপন করেন। বন বিভাগের নাকের ডগায় কাগজপত্র ছাড়াই ফের তিনি করাতকলের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করেন। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকর্মীদের লতিফ খাঁ জানান, আদালতের রিটের বলেই তিনি স’ মিল স্থাপন করেছেন। রিটের মেয়াদ প্রায় দুই বছর আগে শেষ হয়েছে। পুনরায় কি বর্ধিত করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ২০২১ সালের কাগজ কেউ দেখাতে পারবে না। আগের কাগজেই এভাবে অসংখ্য স’ মিল চলছে। এগুলো চললে আমারটা চালাতে অসুবিধা কোথায়?  
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিওএফ) এসএম সাজ্জাদ হোসেন এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, লতিফ খাঁর স’ মিলটি অবৈধ ঘোষণা করে প্রায় ১ বছর আগে বন্ধ করে দেয়া হয়। নতুন কোনো লাইসেন্স দেয়া হয়নি। আদালত থেকেও কোনো কাগজপত্র পাননি। তিনি কীভাবে পুনরায় স’ মিলটি চালু করলেন খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা  নেয়া হবে। জুড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা আলা উদ্দিন জানান, স’ মিল স্থাপনের কাজ চলাকালে একাধিকবার বাধা দিয়েছেন। কিন্তু লতিফ খাঁ তা মানেননি। অবৈধ ঘোষিত ও বন্ধ করে দেয়া স’ মিল পুনরায় চালু করায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে এ ব্যাপারে বন আইনে মামলা দেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর