× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পাঁচবিবিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি নিয়ে দু’পক্ষ মুখোমুখি, সংবাদ সম্মেলন

বাংলারজমিন

পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
৩ আগস্ট ২০২১, মঙ্গলবার

 জয়পুরহাটের পাঁচবিবির আওলাই ইউনিয়নের ছাতিনালী বাজারে হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি নিয়ে ২ পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। এতে যেকোনো মুহূর্তে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে গতকাল বিবদমান জমির সামনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
জমি কবলাকারী ছাতিনালী গ্রামের সামছুদ্দিন আকন্দ, বিক্রয়কারী মৃত কেদার চন্দ্র দাসের পুত্র গোপাল চন্দ্র দাস এবং তার ছোট ভাই নেপাল চন্দ্র দাস লিখিত বক্তব্যে বলেন, একই ইউনিয়নের নওগাঁ কাঁঠালী মৌজার ডাক্তার খয়বর আলী বর্তমানে পাঁচবিবি পৌরসভার পশ্চিম বালিঘাটা গ্রামের টিএন্ডটি পাড়ার বাসিন্দা গত ২০০০ সালে মৃত কেদার চন্দ্র দাসের নিকট থেকে কবলা দলিল সূত্রে ৮ শতক জমি ক্রয় করেন। ২০০২ সালে কেদার চন্দ্র দাস মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর ডাক্তার খয়বর আলী কেদার চন্দ্র দাসের নিকট থেকে আরো ১১ শতক সম্পত্তি বায়না সূত্রে মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা করেন। মামলাতে তিনি একতরফা একটি ডিক্রি পেয়েছেন। একতরফা ডিক্রির বিষয়টি জানতে পেরে আমরা কেদার চন্দ্র দাসের পুত্ররা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেছি।
অপরদিকে ছাতিনালী গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিন আকন্দের পুত্র সামছুদ্দিন আকন্দ, গোপাল চন্দ্র দাসের নিকট থেকে ৬ শতক জমি কবলা করেন সেখানে দীর্ঘদিন থেকে তেলের ব্যবসা করে আসছেন। বর্তমানে জায়গাটিতে সামছুদ্দিন অবকাঠামো মেরামত করতে গেলে ডাক্তার খয়বর আলীর লোকজন বাধা প্রদান করেন।
এই বাধা প্রদানকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে সেখানে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।
এসব বক্তব্য উল্লেখ করে ভুক্তিভোগী পরিবারের সদস্যারা ঘটনার বিয়য়টি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন। অপরদিকে ঘটনাস্থলের পার্শ্বেই উপস্থিত থাকা বাজারের নৈশ্যপ্রহরী সাহারুল ইসলামসহ কিছু মানুষ ডাক্তার খয়বর আলীর জমির কাগজপত্র সঠিক বলে দাবি করেন এবং সেই কাগজে সামছুদ্দিনেরও স্বাক্ষর আছে বলে জানান। ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় আওলাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডলের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করার লক্ষ্যে আমি কয়েক দফা দেন দরবার করে দুই পক্ষকে নিজ নিজ অবস্থানে থাকার সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম তারা মেনেও নিয়েছিল। পরে আমার সেই সিদ্ধান্ত ডাক্তার খয়বর আলী মেনে নেননি। এ ব্যাপারে ডাক্তার খয়বর আলীর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, আমার সকল কাগজপত্র সঠিক রয়েছে এবং আদালত আমার পক্ষে রায় দিয়েছে। এখন কেউ কেউ আমাকে বিপদে ফেলার জন্য নানা কৌশল করছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর