হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম পর্যায়ে ২য় ডোজ করোনার টিকা গ্রহণ করেন ৪২০ জন। কিন্তু টিকা গ্রহণের পরেও সার্টিফিকেট পাওয়া যেন তাদের জন্য সোনার হরিণ। টিকা গ্রহীতার দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করার কোনো প্রকার তথ্য নেই মাধবপুর উপজেলা কমপ্লেক্সের সার্ভারে। যার ফলে টিকার দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করা প্রথম পর্যায়ের টিকা গ্রহীতারা সরকারিভাবে কোনো সার্টিফিকেট নিতে পারছে না।
জানা যায়, গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি যারা করোনার টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন তাদেরকে ৫৬ দিন পর আবার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করার কথা বলা হয় ও টিকা কার্ডে তারিখ উল্লেখ করে দেয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত তারিখে টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের জন্য তাদের মোবাইলে আর কোনো এস এম এস আসেনি। পরে তারা হাসপাতালে গিয়ে নির্ধারিত তারিখে টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেন। টিকার দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করার ৭ দিন পর সার্টিফিকেট দেয়ার কথা থাকলেও তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আর সার্টিফিকেট নিতে পারছেন না।
যার ফলে বিপাকে পড়েছেন বিদেশগামী যাত্রীরা। করোনার সার্টিফিকেট না থাকায় অনেক হজযাত্রী ওমরাহ হজ করতে যেতে পারছেন না। উন্নত চিকিৎসার জন্যও দেশের বাহিরে যেতে পারছেন না। মাধবপুর পৌরসভার স্থানীয় বাসিন্দা মশিউর রহমান মোর্শেদ বলেন, আমি কিছুদিন পর ওমরাহ হজ করতে যাবো। আমি প্রথমদিকে করোনার উভয় ডোজ গ্রহণ করেছি কিন্তু আমি এখনো করোনার ডোজ সম্পন্নের কোনো সার্টিফিকেট পাইনি। ফলে হজের জন্য বিদেশ যেতে আমাকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইশতিয়াক মামুন বলেন, আমাদের হাসপাতালে উল্লেখিত তারিখের ৪২০ জনের এমন সমস্যা হয়েছে। প্রত্যেকদিনই আমাদের কাছে সার্টিফিকেট নেয়ার জন্য লোকজন আসছে। কিন্তু সার্ভারের সমস্যার কারণে আমরা তাদেরকে কোনো সার্টিফিকেট দিতে পারছি না। এ ব্যাপারে আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বরাবর সমস্যার কথা জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি এবং আইটি বিভাগকে জানিয়েছি।