× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শেরপুর উপজেলা প্রকৌশলীকে শাস্তিমূলক বদলি

বাংলারজমিন

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
৩ আগস্ট ২০২১, মঙ্গলবার

প্ররধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর ঘর নির্মাণে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে শেরপুর উপজেলা প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদকে শাস্তিস্বরূপ ঢাকা হেড অফিসে বদলি করা হয়েছে। গতকাল সকালে নূর মোহাম্মদ ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শেরপুর উপজেলায় আমাকে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে রাখা হয়েছে। আমি কখনো ওই সকল ঘর নির্মাণের কাজে জড়িত ছিলাম না। ঘরের মালামাল ক্রয় সংক্রান্ত কোনো মিটিং-এ আমি কখনো যাইনি। সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর প্রতিটি ঘরের খরচ বাবদ ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। শেরপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে মোট ১৬৩টি ঘর নির্মাণ করা হয়। সেখানে ইট-কাঠ, বালি-সিমেন্ট, ঢেউটিনসহ বিভিন্ন প্রকার ক্রয় কমিটিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠে।
তার মাঝে ৪নং খানপুর ইউনিয়নের কয়েরখালি বাজারের পাশে ৮টি ঘর বসবাসের খালের ভেতরে আগেই ধসে পড়ে। এরপর ঢাকা থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান মো. মাহবুব হোসেনসহ ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি খানপুরে পরিদর্শন করেন। সরকারের সংস্থাপন মন্ত্রণালয় থেকে আমাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে ঢাকা হেড অফিসে। শেরপুর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার নূর মোহাম্মদ প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের সরকারি ঘর নির্মাণের সকল কাজ সম্পন্ন করেছেন কমিটির সভাপতি শেরপুর উপজেলা সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ এবং সদস্য সচিব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোছা. শিউলি খানম। অথচ তদন্তে দোষী করা হলো আমাকে। সামনে আমার চাকরির বয়স আর মাত্র ৬০ দিন আছে। এ সময় শাস্তিমূলক বদলি তথা প্রত্যাহারের আদেশ মানা আমার জন্য খুবই কষ্টদায়ক। তিনি বলেন, প্রকল্প কমিটির সভাপতি এবং সদস্য সচিব ওইসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলছেন না। ফলে অনিয়মগুলো স্থায়ী হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর