সিলেট জেলার বৃহত্তম খেলার মাঠ ‘বাঘা হাতালীর নাম ডাকাতির প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে বাঘা ইউনিয়নবাসী নানা প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করছেন। গতকাল ‘বাঁচাও হাতালী ও হাতালী মাঠ সংরক্ষণ কমিটি’, বাঘা্থর আয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাঘা ইউনিয়নের শত মানুষের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সভায় আন্দোলন আরও বেগবান করতে ১০১ জন বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে ‘বাঁচাও হাতালী ও হাতালী মাঠ সংরক্ষণ কমিটি’ গঠন করা হয়। এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিত্ব হাজী আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে ও আব্দুল আলিম শাহ’র সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব হুমায়ূন ইসলাম কামালকে আহ্বায়ক করে বৃহত্তর বাঘা ইউনিয়নের ১০১ জন বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে আন্দোলন কমিটি গঠন করা হয়। ‘বাঁচাও হাতালী ও হাতালী মাঠ সংরক্ষণ কমিটি’র আহ্বায়ক হুমায়ূন ইসলাম কামাল বলেন, ঐহিত্যবাহী হাতালী মাঠের নাম কোনো ব্যক্তির নামে হতে পারে না। এই জমি খেলার মাঠ শ্রেণির। সরকারি এই খেলার মাঠের নাম ডাকাতির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা।
আমরা এই মাঠ পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক আন্দোলনে রয়েছি। বাঁচাও হাতালী আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল আলিম শাহ বলেন, সিলেট জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণাধীন হাতালী খেলার মাঠ কি করে ‘গোলাম মোস্তফা চৌধুরী খেলার মাঠে’ রূপান্তর করা হয়। এতো বড় দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হওয়ার পরও প্রশাসনের নীরবতায় এলাকাবাসী হতাশ। প্রায় ৩০ হাজার জনসংখ্যার বাঘা ইউনিয়নের একমাত্র সরকারি খেলার মাঠ হাতালী উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বাঘাবাসী আন্দোলন অব্যাহত রাখবে বলেও জানান তিনি। সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. ছাদেকুর রহমান জানান- ‘গত ২৯ তারিখ সরজমিন তদন্তপূর্বক উপজেলার সহকারী ভূমি কমিশনার বরাবরে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, ‘জরিপ কার্যের তসদিক পর্যায়ে সরকার পক্ষকে কোনো রূপ নোটিশ প্রদান না করে পর্চার মন্তব্য বা ২৩ নম্বর কলামে গোলাম মোস্তফা খেলার খেলা লিখা হয়েছে, যা মোটেও সমীচীন হয়নি।’