টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে গত রোববার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিনোফার্ম ভ্যাকসিন নিতে আসেন উপজেলার প্রায় হাজারখানেক মানুষ। কর্তৃপক্ষ সকাল ১০টায় ২টি বুথ খুলে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু করেন। সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে ভ্যাকসিন গ্রহণ করছিলেন সাধারণ মানুষ। এর মধ্যে ২নং বুথে সাজেদা আফরিন নামে এক সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক একের পর এক ভ্যাকসিন দিয়ে যাচ্ছিলেন। অতিদ্রুত কর্মসম্পাদন করায় ভ্যাকসিন নিতে আসা এক যুবকের সন্দেহ হয়। সে ভ্যাকসিন না নিয়ে সংবাদকর্মীদের ঘটনা খুলে বলে। সংবাদকর্মীদের তথ্যে কর্তৃপক্ষ পরিত্যক্ত সিরিঞ্জগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে পান ২০ জনের দেহে শুধু সুঁচ পুশ করা হয়েছে। ভ্যাকসিন প্রবেশ করানো হয়নি।
এ ঘটনায় ঐ দিনই ডা. মো. শামিম হোসেনকে সভাপতি, ডা. নূর-ই-আলম তাহমিদ ও এনামুল হক এমটি (ইপিআই)কে সদস্য করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গতকাল তদন্ত রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
তদন্ত কমিটির সদস্য মো. এনামুল হক (এমটি ইপিআই) জানান, তদন্তে ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রবীর কুমার সরকার জানান, তদন্ত রিপোর্ট ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে সহকারী সিভিল সার্জন ডা. মো. শামিমের মোবাইল একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।