পূর্ণ ডোজ টিকা নেয়া করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার ৭ শতাংশ এবং টিকা না নেয়া রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার ২৩ শতাংশ। ১লা আগস্ট প্রকাশিত সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণা তথ্যে আরও বলা হয়েছে, অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত টিকা না নেয়া করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার ৩২ শতাংশ এবং পূর্ণ ডোজ টিকা নেয়া রোগীদের ভর্তির হার ছিল ১০ শতাংশ। গবেষণায় দেখা যায়, একের অধিক অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত টিকা না নেয়া করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার পূর্ণ ডোজ টিকা গ্রহণকারীদের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি। গত মে ও জুন মাসে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জাতীয় তালিকা থেকে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে নির্বাচিত ত্রিশোর্ধ্ব ১ হাজার ৩৩৪ জনের ওপর এই গবেষণা পরিচালিত হয়।
গবেষণায় বলা হয়, কোভিড-১৯ রোগে পূর্ণ ডোজ টিকা গ্রহণকারীদের তুলনায় টিকা না নেয়া আক্রান্তদের মধ্যে অধিকহারে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত জটিলতা, অধিক হাসপাতালে ভর্তি ও অধিক মৃত্যু ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে। আইইডিসিআর কোভিড-১৯ রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি পূর্ণ ডোজ টিকা গ্রহণের জন্য সকলকে আহ্বান জানিয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, টিকা না নেয়া রোগীদের মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত জটিলতার হার ছিল ১১ শতাংশ। অন্যদিকে পূর্ণ ডোজ টিকা গ্রহণ পরবর্তী আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এই হার ৪ শতাংশ। অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত টিকা না নেয়া করোনা রোগীদের মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত জটিলতার হার পূর্ণ ডোজ টিকা গ্রহণ পরবর্তী আক্রান্তদের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারী টিকা না নেয়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে তিন শতাংশের আইসিইউতে ভর্তির প্রয়োজন হয়েছে।
অন্যদিকে পূর্ণ ডোজ টিকা গ্রহণ পরবর্তী আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এক শতাংশের কম রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করতে হয়েছে।
টিকা না নেয়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে তিন শতাংশ মারা গেছেন এবং টিকা গ্রহণ পরবর্তী আক্রান্তদের মধ্যে শূন্য দশমিক তিন শতাংশ রোগী মারা গেছেন। গবেষণায় টিকার একটি ডোজও গ্রহণ করেননি এমন ৫৯২ জন আক্রান্ত রোগী এবং পূর্ণ ডোজ টিকা নিয়েছেন এমন ৩০৬ জন রোগী অংশগ্রহণ করেন। যারা টিকা গ্রহণ করার অন্তত ১৪ দিন পর নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা গবেষণায় অংশগ্রহণ করেন। আক্রান্ত রোগীদের শনাক্ত হওয়ার অন্তত ১৪ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়।