× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাজস্ব বোর্ডকে ধন্যবাদ জানালো টিআইবি

দেশ বিদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
৩ আগস্ট ২০২১, মঙ্গলবার

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) টাস্কফোর্স কর্তৃক করের আওতার বাইরে থাকা প্রায় ৮০ হাজার কোম্পানি শনাক্ত এবং কর ব্যবস্থার আওতায় আনার চলমান প্রক্রিয়া ও উদ্যোগের প্রতি সাধুবাদ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদশে (টিআইবি)।
এই বিশালসংখ্যক কোম্পানি এতদিন কীভাবে কর ব্যবস্থার আওতার বাইরে ছিল এবং এর মাধ্যমে ঠিক কী পরিমাণ কর ফাঁকির ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের প্রক্রিয়াগত দুর্বলতা চিহ্নিত করার পাশাপাশি তা দূরীকরণে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।
গতকাল এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতখোরুজ্জামান বলেন, এনবিআরের কমপ্লায়েন্স নিয়ে গঠিত টাস্কফোর্সের করজালের বাইরে থাকা বিপুল পরিমাণ কোম্পানি খুঁজে বরে করাই প্রমাণ করে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও সুশাসনের ঘাটতি কতটা প্রকট।
তিনি আরও বলেন, একটি নিবন্ধিত কোম্পানি অর্ধশতাব্দী ধরে ব্যবসা করছে অথচ কখনই কর দেয়নি। আবার মাত্র দুটি ঠিকানায় ১ হাজার ৪০০ কোম্পানির নিবন্ধন কিংবা একই ব্যক্তি ৪৬টি কোম্পানির পরিচালক। কিন্তু টিআইএন আছে মাত্র ৪টির। এসব তথ্য রূপকথার অনিয়ম এবং আর্থিক অব্যবস্থাপনাকেও হার মানায়। একদিনে বা রাতারাতি এই বিপুলসংখ্যক কোম্পানি কর ফাঁকি দেয়ার সংস্কৃতির চর্চা যেমন শুরু করেনি, ঠিক তেমনি স্বল্প সময়ের ব্যবধানেও তারা এই অনৈতিক সুযোগ গ্রহণ করছে না। সংশ্লিষ্ট অনেকেরই যোগসাজশে এই পরস্থিতির সৃষ্টি হয়ছে। তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার পাশাপাশি এক্ষেত্রে প্রক্রিয়াগত প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা চিহ্নিত করে তা নিরসন করা জরুরি।
টিআইএনবিহীন কোম্পানি সম্পর্কে টাস্কফোর্সের প্রাথমিক প্রতিবেদনে ‘দুর্নীতিতে নিমজ্জিত বেদনাক্রান্ত দেশের করুণ গল্প’ ও ‘দেশের আর্থিক খাতে সুশাসনের ঘাটতি’ শীর্ষক মন্তব্য দুটির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত পোষণ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এর দায় সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান এবং কর্তৃপক্ষের।
কেন না এক ঠিকানায় শতাধিক কোম্পানির নিবন্ধন দেয়া হলেও তা চিহ্নিত করার ব্যবস্থা যে যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের নেই, সেটি যেমন স্পষ্ট তেমনি সহযোগিতাকারী ‘ল’ফার্ম এর দায়হীন আচরণ সমভাবে দায়ী। আবার ৭৮ হাজারেরও অধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের টিআইএন থাকা সত্ত্বেও মাত্র ২৬ হাজারের আয়কর রিটার্ন জমা দেয় এবং এর মধ্যে অর্ধেক প্রতিষ্ঠানই আবার ভুয়া নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সকলেই যাতে হয়রানিমুক্ত পরিবেশে সহজ পদ্ধতিতে রাজস্ব কর প্রদানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে কাক্সিক্ষত ভূমিকা রাখতে পারে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা জরুরি। একইসঙ্গে করের আওতায় আনা চলমান প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান যাতে হয়রানি বা হেনেস্তার শিকার না হয়, সে ব্যাপারেও সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানাই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর