বিশ্বের মধ্যে দুবাইয়ের বা সংযুক্ত আরব আমিরাতের চাকরিজীবীরা সর্বোচ্চ পরিমাণ বেতন ঘরে নিতে পারেন। আয়কর, সামাজিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন অর্থ কর্তনের পর বিশ্বজুড়ে কর্মীদের বেতনের তুলনা করে এ তথ্য প্রকাশ করেছে পিডব্লিউসি ইউকে। এ রিপোর্ট সোমবার দুবাই মিডিয়া অফিসের সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে। অনলাইন গালফ নিউজ, খালিজ টাইমস এ খবর দিয়ে বলেছে- বিশ্বের বিভিন্ন শহরের সঙ্গে তুলনায় দেখা গেছে আমিরাতের কর্মীরা যে অর্থ উপার্জন করেন তার মধ্যে শতভাগই ঘরে নিতে পারেন তারা। এই উপার্জনকে ইংরেজিতে ‘টেক-হোম স্যালারি’ বলে অভিহিত করা হয়। কারণ, বিভিন্ন দেশে নানা পেশার কর্মজীবীরা বেতন পাওয়ার পর সেখান থেকে আয়কর বা সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক নানা অংকের অর্থ কেটে রাখা হয়। এসব অর্থ কর্তনের পর যা বাকি থাকে, তারা তাই নিতে পারেন ঘরে। একে বলা হয় ‘টেক হোম স্যালারি’।
তবে এই গবেষণায় ওইসব ব্যক্তিকে ধরা হয়েছে, যারা বিয়ে করেছেন কিন্তু এখনও সন্তান হয়নি। এক্ষেত্রে দেখা গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্মজীবীরা যে বেতন পান তার মধ্যে শতভাগই ঘরে নিয়ে যেতে পারেন। কারণ, তাদের উপার্জন আয়কর মুক্ত। কোনো অর্থ তাদের কেটে রাখা হয়না। জাতীয় পর্যায়ে যারা কাজ করেন না তাদের কাছ থেকে কোনো সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক অর্থও কাটা হয় না। ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্মজীবীরা কোনো অর্থের কর্তন ছাড়াই পুরো অর্থ বাসায় নিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু কিছু বিদেশি নাগরিককে তার নিজের দেশে আয়কর দিতে হতে পারে। যেমন সংযুক্ত আরব আমিরাতে যদি একজন মার্কিনি কাজ করেন, তাকে আমিরাতে কোনো আয়কর দিতে হয় না। কিন্তু তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে যে অর্থ উপার্জন করবেন তার ওপর আয়কর দিতে হয় নিজ দেশে। অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত কোনো ‘নন-রেসিডেন্ট ইন্ডিয়ান’ (এনআরআই) যে অর্থ উপার্জন করেন তা থেকে আমিরাতে কোনো আয়কর দিতে হয় না। আবার তাদের এনআরআই মর্যাদার কারণে ভারতেও কোনো আয়কর দিতে হয় না।