এবার টোকিও অলিম্পিকস হচ্ছে শূন্য স্টেডিয়ামে। দর্শক গ্যালারি ফাঁকা। এজন্য অ্যাথলেটরা স্বর্ণ জয় করলেও তাৎক্ষণিক যে সরাসরি প্রতিক্রিয়া পান গ্যালারি থেকে, তা এবার নেই। তিনি নিজে এবং টিমমেটরাই শুধু উল্লাস করছেন। দক্ষ অ্যাথলেটরা তাদের সর্বোচ্চ পারফরমেন্স তুলে ধরছেন। আবার কোনো সময় মজার ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। কিছু অ্যাথলেট তাদের অবিশ্বাস্য চুলের স্টাইলের জন্য খেলা ছাড়াই লাইমলাইটে চলে এসেছেন। মানুষ হা করে তাকিয়ে দেখছে তাদের চুলের স্টাইল।
এ নিয়ে তারাই আবার নিজেদের অফিসিয়াল পেইজে টুইট করছেন। কেউ তাদের চুলে উজ্বল গোলাপী রং মেখেছেন। কেউ চুলের অংশবিশেষ সেভ করে তাতে ফুটিয়ে তুলেছেন অলিম্পিকের লোগো। এমন অ্যাথরেটদের মধ্যে আছেন জাপানের নাওমি ওসাকা, জ্যামাইকার শেলি-অ্যান ফ্রাসার-প্রাইসি। তাদের চুলের রঙ লাল ও সাদা। এটা জাপানের জাতীয় পতাকার রঙ। এই রঙে তারা সাজিয়েছেন নিজেদের চুল। অন্যদিকে আমেরিকান প্রমিলা ফুটবলার মেগান রাপিনোর চুল ছোট্ট ছোট্ট হলে কি হবে, তাতে বেগুনি শেড ব্যবহার করেছেন। ডাচ উইন্ডসার্ফার কিরন বডলো স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন ‘অবতার: দ্য লাস্ট এয়ারবেন্ডার’-এর কথা। এসব নিয়ে আয়োজকরা ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, আপনি জানেন না এই বিষয়বস্তুতে আপনাকে প্রয়োজন। এই অলিম্পিকে বিজয় প্রদর্শনের পাশাপাশি এটাও দেখার বিষয়। কার অলিম্পিক হেয়ারস্টাইল আপনি মনে করেন যে, স্বর্ণপদক পাওয়া উচিত?
এই পোস্টের প্রতিক্রিয়া অনেক। অনেকে তাদের পছন্দ নিয়ে কথা বলছেন। একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, শেষেরটা। অর্থাৎ শেষের ছবি ছিল মেগান রাপিনো’র। সেটাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। আবার কেউ কেউ নাওমি ওসাকার লাল-সাদা চুলের কথা বলেছেন। কিরণ ব্যাডলোর হেয়ারস্টাইল নিয়েও কথা আছে। তারা বলেছেন, ‘দ্য লাস্ট এয়ারবেন্ডার’। এতে বোঝানো হয়েছে তারা কাকে ভোট দিচ্ছেন। টুইটারে একটি উদ্ধৃতিকে সামনে এনে বলা হয়েছে ‘হেড ট্যাট্টু’। আরেকজন অফিসিয়াল পোস্টে রিটুইট করে লিখেছেন, এই টুইটার ফিচার সত্যি খুব চমৎকার।
অলিম্পিকস আয়োজকরা এ বিষয়ে তাদের ওয়েবসাইটে আরো বিস্তারিত জানাবেন। তাতে তারা আরো অ্যাথলেটের ছবি যুক্ত করবেন।