অলিম্পিকের ১২৩ বছরের ইতিহাসে নতুন কীর্তি গড়েছেন কুইন ও লরেল হাবার্ড। কানাডিয়ান কুইন ও নিউজিল্যান্ডের হাবার্ড টোকিও অলিম্পিকে এসেছেন ট্রান্সজেন্ডার অ্যাথলেট হিসেবে। মেয়েদের ফুটবলে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে কানাডা। চারবারের সোনাজয়ী যুক্তরাষ্ট্রকে হারানো কানাডা দলের অন্যতম সদস্য কুইন। ২৫ বছর বয়সী এই সেন্টারব্যাক প্রথম ট্রান্সজেন্ডার অ্যাথলেট হিসেবে অলিম্পিক পদক জয়ের মাইলফলক গড়লেন। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে কানাডা নারী দলের সদস্য ছিলেন কুইন। সেসময় রেবেকা কুইন নামে খেলতেন তিনি। লিঙ্গ পরিবর্তন করে রেবেকা নাম বাদ দিয়েছেন।
রিওতে কানাডার হয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন। পাঁচবছর পর নারী ফুটবলের ফাইনালে খেলবেন কুইন। কানাডিয়ান কুইনের মতো দারুণ অর্জন না হলেও ইতিহাসের পাতায় ঢুকে পড়েছেন লরেল হাবার্ড। এই কিউই ভারোত্তলক প্রথম ট্রান্সজেন্ডার অ্যাথলেট যিনি অলিম্পিকের ব্যক্তিগত ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন। ৮৭ প্লাস কেজি ওজন শ্রেণীতে অলিম্পিক অভিষেক হয় হাবার্ডের। তবে সুখকর হয়নি তার স্বপ্নের অলিম্পিক যাত্রা। একবারও ওজন তুলতে পারেননি। প্রথমে ১২০ কেজি তোলার চেষ্টা করেছিলেন। পরের দুইবার ১২৫ কেজি। একবারও সফল না হওয়ায় ফাইনালে ওঠা হয়নি তার। হাবার্ড ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে। ৩০০ কেজি ওজন তুলে গড়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের জাতীয় রেকর্ড। ২০০১ সালে ২৩ বছর বয়সে লম্বা সময়ের জন্য বিরতিতে চলে যান। ২০১২ সালে লিঙ্গ পরিবর্তন করে করে ভারোত্তলনে ফেরেন ২০১৬ সালে, ১৬ বছর পর। সেবছর নর্থ আইল্যান্ড গেমস ও অস্ট্রেলিয়ান ভারোত্তলন চ্যাম্পিয়নশিপে জেতেন সোনা। ২০১৮ কমনওয়েলথ গেমসে ইনজুরিতে পড়ে ক্যারিয়ার শেষ হতে বসেছিল হাবার্ডের। অস্ত্রোপচারের পর ফিরে ২০১৯ সালে সোনা জেতেন প্যাসিফিক গেমস ও ওশেনিয়া চ্যাম্পিয়নশিপে। ২০০৪ সাল থেকে ট্রান্সজেন্ডার অ্যাথলেটদের খেলার অনুমতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (আইওএ)। এ জন্য সর্বশেষ ১২ মাসে টেস্টোস্টেরনের মাত্রাটা কম থাকতে হবে। শর্ত পূরণ করায় হাবার্ড ও কুইনের খেলায় বাধা দেয়নি আইওএ।