× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন নেপালের কিংবদন্তি

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
৪ আগস্ট ২০২১, বুধবার

২০০২ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে অনূর্ধ্ব-১৫ পর্যায় থেকে শুরু। এরপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, জাতীয় দলের নেতৃত্ব ও দেশের ক্রিকেটকে সঙ্গী করে এগিয়ে চলা। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দীর্ঘ পথচলায় পরশ খড়কা হয়ে উঠেছিলেন নেপাল ক্রিকেটের প্রতীক। রোমাঞ্চকর সেই অভিযান থামল এবার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন এই অলরাউন্ডার।
নেপালের ক্রিকেটে অনেকটা আচমকাই এলো পরশের অবসরের এই সিদ্ধান্ত। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গতকাল তিনি জানান, চূড়ান্ত স্বচ্ছতা, শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি। নেপালের হয়ে খেলতে পারা ছিল আমার সবচেয়ে বড় অর্জন এবং ২০০২ সালে ১৫ বছর বয়সী হিসেবে যাত্রা শুরুর পর থেকে এই ১৮ বছরে সবসময় পাশে থাকার জন্য সব কোচ, সতীর্থ, সমর্থক, অংশীদারী অন্যরা যারা, বন্ধু ও পরিবারের সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। বয়স যদিও খুব বেশি হয়নি, কেবল ৩৩।
তবে পরশের মতে, সরে দাঁড়ানোর সময় হয়ে গেছে। কেন এখন? কারণ এখনই সময়। ক্রিকেটার হিসেবে আমার হৃদয়, রক্ত ও আত্মা দিয়ে খেলেছি আমি এবং সবসময় স্বপ্ন দেখেছি দেশের হয়ে আরও ভালো কিছু অর্জনের।’ নেপালের হয়ে ১০ ওয়ানডে খেলে ৩৫ গড়ে তার রান ৩১৫। মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে উইকেট ৯টি। ৩৩ টি-টোয়েন্টিতে ২৭.৫৫ গড়ে ৭৯৯ রান ১২৮.০৪ স্ট্রাইক রেটে। উইকেট ৮টি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেপালের প্রথম অধিনায়ক তিনি। এছাড়াও নেপালের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিয়ান, প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিয়ান ও ওয়ানডেতে ৪ উইকেট শিকারি প্রথম বোলার তিনি। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে নেপালের প্রথম জয় তার নেতৃত্বেই। দুটি জয়েই শুধু নেতৃত্ব নয়, ব্যাটে বলে ছিল তার উল্লেখযোগ্য অবদান। প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ে হংকংয়ের বিপক্ষে ৪১ রান করার পর নিয়েছিলেন ১টি উইকেট। ওয়ানডে জয়ে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৫১ রানের পাশাপাশি শিকার করেন ১ উইকেট। ২০১৯ সালে নেপালের প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয়েও তিনি ছিলেন অধিনায়ক। সিরিজ জয় নিশ্চিত করার ম্যাচে ২ উইকেট নিয়ে ও সেঞ্চুরি করে তিনিই ছিলেন ম্যাচ সেরা। তবে নেপালের ক্রিকেটে পরশের অবদান এসব রেকর্ড-পরিসংখ্যানের চেয়েও বেশি। তিনটি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নেপালের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি, ২০০৪, ২০০৬ ও ২০০৮ আসরে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই জাতীয় দলে জায়গা পাকা করে ফেলেন। জাতীয় দলের নেতৃত্বের ভার পেয়ে যান কেবল ২১ বছর বয়সেই। ২০১০ সালে আইসিসি ক্রিকেট লীগ ডিভিশন ৫ থেকে নেপাল ক্রিকেটের তরতর করে এগিয়ে চলা পরশের নেতৃত্বেই। বাংলাদেশে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে পরশের অধিনায়কত্বে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু নেপালের। ২০১৮ সালে নেপালের ওয়ানডে মর্যাদাও প্রাপ্তি তার নেতৃত্বেই। দেশের ক্রিকেটকে হৃদয়ে ধারণ করতেন বলেই হয়তো বোর্ডের নানা বিতর্কিত পদক্ষেপের প্রতিবাদে তিনি বরাবর ছিলেন সোচ্চার। ক্রিকেট বোর্ডে সরকারী হস্তক্ষেপের কারণে ২০১৬ সালে নেপালকে বহিষ্কার করে আইসিসি। পরে ২০১৯ সালে শর্তসাপেক্ষে তুলে নেওয়া হয় বহিরাষ্কারাদেশ। তবে এর পরপরই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন পরশ। এবার ছেড়ে দিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর