এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের আগে বাফুফের কাছে বেশকিছু ফ্রেন্ডলি ম্যাচের প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশের হেড কোচ জেমি ডে। তার চাহিদামাফিক আসন্ন ফিফা উইন্ডোগুলোতে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে ১৪টি দেশকে চিঠি দেয় বাফুফে। বাংলাদেশের চাওয়ার প্রেক্ষিতেই জামাল-রানাদের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে রাজি হয়েছে নেপাল ও মঙ্গোলিয়া। সেপ্টেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে সিলেটে হওয়ার কথা ছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন স্বাগতিক না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এই ফুটবল টুর্নামেন্টে পিছিয়ে চলে যায় অক্টোবরে। তাই ৩০শে আগস্ট ৭ই সেপ্টেম্বরের উইন্ডোতে দু’টি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে ১৪ দেশকে প্রস্তাব দেয় বাফুফে। সেপ্টেম্বরের উইন্ডোতে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ থেকে প্রস্তাব দেয়া
হয়েছে আফগানিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান, লাওস, মঙ্গোলিয়া, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চাইনিজ তাইপে, ম্যাকাও, গুয়াম ও তিমুর লেস্তেকে। ২৩শে জুন চিঠি দেয়া হলেও গতকাল পর্যন্ত কোনো দেশ সেপ্টেম্বরে ম্যাচ খেলতে সাড়া দেয়নি। তবে এ দেশগুলোর মধ্যে নেপাল ও মঙ্গোলিয়া বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে চাচ্ছে নভেম্বরের উইন্ডোতে। নেপাল তাদের দেশে গিয়ে দু’টি ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দিয়েছে বাফুফেকে, মঙ্গোলিয়া চেয়েছে বাংলাদেশে আসতে। মঙ্গোলিয়া প্রথমে সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে অক্টোবরে ম্যাচ খেলতে চেয়েছিল। তবে ৪ থেকে ১২ই অক্টোবরের উইন্ডোতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ হবে বলে ওই সময়ে কোনো সুযোগ নেই। বাফুফে মঙ্গোলিয়াকে নভেম্বরে খেলার কথা বলেছে। নেপাল নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে দু’টি ম্যাচ খেলতে চায় কাঠমান্ডুতে। বাফুফে এখন দুই দেশের একটিকে বেছে নেবে ৭ থেকে ১৬ নভেম্বরের উইন্ডোর জন্য। কোন দেশকে বাফুফে পছন্দ করবে সেটা এখনো ঠিক করেনি। তবে বাফুফের মঙ্গোলিয়ার দিকেই একটু আগ্রহ বেশি। কারণ, নেপালের সঙ্গে এমনিতেই অনেক ম্যাচ খেলা হয়ে থাকে। সে তুলনায় অনেক কম ম্যাচ খেলা হয় মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে। ২০২১ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দু’টি ম্যাচ খেলার পর মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে আর দেখা হয়নি লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। যদিও এ বিষয়ে পরিষ্কার কোনো ধারণা দেননি বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। তিনি জানিয়েছেন নভেম্বরে উইন্ডোতে তারা দু’টি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলবেন। তবে কাদের সঙ্গে খেলবেন তা এখনো নিশ্চিত হয়নি।