সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ১৩২ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে হারিয়ে ১৩১ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। দলের হয়ে সাকিব সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন। এছাড়া মোহাম্মদ নাঈম ৩০ ও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ২০ রান। শেষ দিকে ১৭ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলেন আফিফ হোসেন।
এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত শুরু করতে পারেনি বাংলাদেশ। আত্মঘাতী হয়ে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার। জশ হ্যাজলেউডের বলটি বানিয়ে মারতে গিয়েছিলেন, কাট করে সেটি নিজের উইকেটেই টেনে আনেন। সৌম্য ৯ বলে করেন মাত্র ২ রান।
সৌম্য ফেরার পর নাইম শেখ মোটামুটি ভালো খেলছিলেন। মিচেল স্টার্ককে ফ্লিক করে বড় এক ছক্কাও হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু পরে আবার রানের গতি আটকে যায় নাইমের। সেই চাপ থেকেই বোধ হয় অ্যাডাম জাম্পাকে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়েছিলেন সপ্তম ওভারের শেষ বলে। বলটি মিস করে হন পরিষ্কার বোল্ড, ২৯ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় নাইম করেন ৩০ রান।
এরপর দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ মিলে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন কিছুটা। যদিও তেড়েফুরে খেলতে পারেননি তারাও। ৩২ বলের জুটিতে তারা যোগ করেন ৩৬ রান। তুলে মারতে গিয়ে আউট হন মাহমুদুল্লাহ। হ্যাজলউডের বলে দৌড়ে গিয়ে দারুণ এক ক্যাচ নেন ময়েচেস হেনড্রিকস। ২০ বলে সমান রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক। এরপর ৩৩ বলে ৩৬ রান জস হ্যাজলেউডের বলে বোল্ড হন সাকিব। সাকিবর ফেরার একাই লড়াই করেছেন আফিফ হোসেন। তার ১৭ বলে ২৩ রানের ইনিংসে লড়াই করার মতো পুঁজি পায় বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার হ্যাজলেউড তিনটি ও মিচেল স্টার্ক নেন দুই উইকেট।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দুই পেসার নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে আছেন শরিফুল ইসলাম। এছাড়া সাকিব আল হাসান ছাড়াও পাঁচজন স্পিনিং অলরাউন্ডারকে সুযোগ দেয়া হয়েছে একাদশে। বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে আছেন নাসুম আহমেদ।