× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভাগ্নের দুর্নীতির বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
৪ আগস্ট ২০২১, বুধবার

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মায়ের নামে গোপালগঞ্জে নির্মাণাধীন শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কেনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভাগ্নের দুর্নীতির ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। মঙ্গলবার এডভোকেট আনিচুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম. আনিসুজ্জামান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করেন। রিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র অর্থ সচিব (অর্থ বিভাগ), স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিভাগ), স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালক (অর্থ), গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, দুদক চেয়ারম্যান এবং বিডি থাই কসমো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৯ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। পরে এম আনিসুজ্জামান জানান, হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চ্যুয়াল একক বেঞ্চে রিট আবেদনটি জমা দেয়া হয়েছে। রিট আবেদনে উক্ত ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আরজি জানানো হয়েছে। এর আগে ‘হাসপাতালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভাগ্নের দুর্নীতি, বাথরুম লাইটের দাম ৩৮৪৩ টাকা’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়- গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর মায়ের নামে তৈরি শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের বাতি কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যেখানে ১৫ ওয়াটের বাথরুম লাইট কেনা হয়েছে ৩ হাজার ৮৪৩ টাকায়।
১৮ ওয়াটের সারফেস ডাউন লাইট কেনা হয়েছে ৩ হাজার ৭৫১ টাকায়। এরকম ২৪টি সরঞ্জাম তাদের সরবরাহ করার কথা রয়েছে। নির্মাণাধীন সরকারি হাসপাতালে এমন দরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সরবরাহ করছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভাগ্নের প্রতিষ্ঠান বিডি থাই কসমো লিমিটেড (কসমো লাইটিং)। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পিডব্লিউডির তালিকাভুক্ত না হলেও রায়ান হামিদের প্রতিষ্ঠান ‘বিডি থাই কসমো লিমিটেড’ এসব সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের চাপেই তাদের কাজ দেয়া হয়েছে বলে দাবি মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশনের। এদিকে বাজার ঘুরে দেখা যায়, দরপত্রে উল্লিখিত এসব পণ্যের বেশির ভাগের খুচরা দাম অর্ধেকের কম। কোনোটি প্রস্তাবিত দরের এক তৃতীয়াংশ। প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া অন্য প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবিত দর কসমো থেকে অনেক কম। কসমো যে বাথরুম লাইটের দাম দিয়েছে ৩ হাজার ৮৪৩ টাকা আরেক প্রতিষ্ঠান তা প্রস্তাব করেছে ৭১৫ টাকা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর