তদন্তে প্রমাণ হয়েছে ১১ জন নারীকে যৌন হয়রানি করেছেন নিউ ইয়র্কের গভর্নর অ্যানড্রু কুমো। এ কারণে ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকান উভয় পক্ষ থেকে তার পদত্যাগ দাবি উঠেছে। এই দাবিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অর্থাৎ তিনিও ওই গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করেছেন। নিউ ইয়র্কের এটর্নি জেনারেল লেতিতিয়া জেমস মঙ্গলবার এ বিষয়ক তদন্তের ফল প্রকাশ করেছেন। তাতে দেখা গেছে যৌন সুবিধা পাওয়ার অনাকাঙ্ক্ষিত চেষ্টা করেছেন গভর্নর । অনেক নারীকে চুম্বন করেছেন। তাদেরকে আলিঙ্গন করেছেন।
এ ছাড়া অনভিপ্রেত মন্তব্য করেছেন। এই তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সামনে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, আমি মনে করি তার (অ্যানড্রু কুমো) পদত্যাগ করা উচিত। আমার আরও মনে হয় রাজ্যের আইনসভা তাকে হয়তো অভিশংসিত করার সিদ্ধান্ত নেবে। আসলে এ বিষয়ে আমি জানি না। সব ডাটা বা রিপোর্ট সম্পর্কে আমি পড়িনি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে মেয়র অ্যানড্রু কুমোর ঘনিষ্ঠতা আছে। সেই সম্পর্ক বা ইমেজকে ব্যবহার করে কুমো আত্মরক্ষার চেষ্টা করতে পারেন। এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, দেখুন আমি এ বিষয়গুলোকে এড়িয়ে যাবো না। আমি নিশ্চিত কিছু বিষয় আছে যা বিব্রতকর। কিছু বিষয় আছে নিরপরাধমূলক। কিন্তু এটর্নি নেজারেল যা করেছেন তা ঠিক ছিল না। এ বিষয়ে আমি বিস্তারিত জানি না। তবে আমি যা জানি তা হলো তদন্ত রিপোর্ট সম্পর্কে। এর আগে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজ থেকে এই তদন্ত রিপোর্টে যেসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে তাকে জঘন্য বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এর আগেই প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, যদি আনীত অভিযোগ তদন্তে সত্য দেখা যায় তাহলে কুমোর উচিত হবে পদত্যাগ করা।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আগেই অ্যানড্রু কুমোর পদত্যাগ দাবি করেছেন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি, নিউ ইয়র্কের বেশ কিছু ডেমোক্রেট। এর মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের সিনেটর চাক শুমার এবং ক্রিস্টেন গিলিব্রান্ড, কংগ্রেসম্যান হাকিম জেফ্রে এবং মনডাইরে জোনস। বিবৃতিতে ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, তদন্ত পূর্ণাঙ্গভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যেসব নারী সাহস করে সামনে এসে তাদের অভিযোগ উত্থাপন করেছেন তাদেরকে সবসময়ই আমি প্রশংসা করি। তবু নিউ ইয়র্কের প্রতি তার ভালবাসা এবং দায়িত্বের প্রতি তার সম্মানকে স্বীকার করেই আমি গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করছি। ওদিকে চাক শুমার ও গিলিব্রান্ড যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। তাতে তারা তদন্ত রিপোর্টকে হতাশাজনক বলে আখ্যায়িত করেছেন। বলেছেন, কোনো নির্বাচিত কর্মকর্তাই আইনের ঊর্ধ্বে নন। গভর্নর অফিসে এর চেয়ে উন্নত নেতৃত্ব প্রত্যাশা করেন নিউ ইয়ের্কের মানুষ। আমরা বিশ্বাস করি, গভর্নর পদত্যাগ করবেন।