× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্ক্রিনে বেশি সময় ব্যয় ও করোনার কারণে শিশুদের দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায়

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) আগস্ট ৪, ২০২১, বুধবার, ১:০৯ অপরাহ্ন

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এবং ঘরের ভেতর ও স্ক্রিনের দিকে অধিক সময় তাকিয়ে থাকার সঙ্গে শিশুদের দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়ার সম্পর্ক থাকতে পারে। হংকং-ভিত্তিক এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। এতে বলা হয়, হংকংয়ের ছয় থেকে আট বছর বয়সী ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষার্থীর দু’টি দলের উপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, লকডাউন ও অন্যান্য বিধিনিষেধ শিশুদের মধ্যে ক্ষীণদৃষ্টি (মায়োপিয়া) বাড়ানোয় প্রভাব ফেলে থাকতে পারে।
এ বছরের শুরুর দিকে মেডিক্যাল সাময়িকী বৃটিশ জার্নাল অব অফথামোলজি-তে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, ঘরে থাকা ও বিভিন্ন ধরণের স্ক্রিনে সময় ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় শিশুদের দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়ার ঝুঁকি তিন গুণ বৃদ্ধি পেতে পারে।
চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকং-এর অধ্যাপক ও গবেষকদলের একজন ড. জ্যাসন ইয়াম বলেন, স্বল্প দূরত্ব থেকে করা কাজ, পড়ালেখা, টিভি দেখা- এর সঙ্গে মায়োপিয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। অন্যদিকে, বাইরে সময় ব্যয় করলে এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা পাওয়া যায়। তবে করোনা মহামারিতে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে অনেককেই ঘরের ভেতরে থাকতে হয়েছে। হংকংয়ে গত বছর বহু মাস স্কুল ও বিনোদনের স্থানগুলো, খেলার মাঠ, পার্ক, ইত্যাদি বন্ধ ছিল।
তিনি বলেন, বাইরে সময় ব্যয়ের জায়গা সীমিত হয়ে যাওয়ায় মানুষজন ঘরের ভেতর থাকতে বাধ্য হয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই এ সময়ে টিভি দেখা বা কম্পিউটার, স্মার্টফোন ও অন্যান্য ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার বেড়েছে।
ইয়াম ও তার সহকর্মীরা গবেষণা প্রতিবেদনে জানান, গবেষণার জন্য প্রথমে ২০১৫ সালে একদল স্কুলশিক্ষার্থীকে নিয়ে গবেষণা করা হয়। তিন বছর পর ২০১৯ সালের ১লা ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের ২৪শে জানুয়ারির মধ্যে একই বয়সের আরেক দল শিক্ষার্থীকে নিয়ে গবেষণা করা হয়। প্রথম দলের শিক্ষার্থীদের তিন বছর পর এবং দ্বিতীয় দলের শিক্ষার্থীদের উপর আবার জরিপ চালানো হয়। গবেষণার অংশ হিসেবে, তাদের চোখ পরীক্ষা করার পাশাপাশি তারা বাইরে ও স্ক্রিনের সামনে কতটুকু সময় ব্যয় করে সে বিষয়েও জিজ্ঞেস করা হয়।
গবেষণায় দেখা যায়, করোনা-পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় করোনা মহামারির সময়ে গবেষণায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের হার বেশি। প্রথম দলের শিক্ষার্থীদের প্রতি তিনজনের একজন তিন বছরের ব্যবধানে মায়োপিয়ায় ভোগার কথা জানায়। অপরদিকে দ্বিতীয় দলের শিক্ষার্থীদের প্রতি পাঁচজনের একজন মাত্র আট মাসের ব্যবধানে মায়োপিয়ায় ভুগছে বলে জানায়। দুই দলের দেওয়া উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, করোনাকালে শিশুদের মধ্যে মায়োপিয়ায় ভোগার বার্ষিক হার প্রায় ৩০ শতাংশ ও করোনা-পূর্ববর্তীকালে চালানো গবেষণায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ হার ১২ শতাংশেরও কম। অর্থাৎ, করোনা মহামারির মাঝে শিশুদের মায়োপিয়ায় আক্রান্তের হার ২.৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
এছাড়া, গবেষণাটিতে আরো দেখা গেছে, করোনাকালে শিশুদের বাইরে সময় কাটানোর দিন প্রতি গড়ে ৭৫ মিনিট থেকে ২৪ মিনিটে নেমে এসেছে। অন্যদিকে, স্বল্প দূরত্বের কাজের পরিমাণ দিনে গড়ে ৩.৫ ঘণ্টা থেকে বেড়ে আট ঘণ্টা হয়েছে।
ওই গবেষণার ফলাফল অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এস্টন ইউনিভার্সিটির অপটোমেট্রি বিষয়ক অধ্যাপক জেমস উলফসন বলেন, এখন অবধি অন্তত নয়টি গবেষণায় দেখা গেছে যে, করোনাকালে মায়োপিয়ার হার বেড়েছে। এর মধ্যে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, লকডাউন তুলে নেওয়ার পর এ হার আংশিকভাবে কমেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর