নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভয়াবহ হাসেম ফুড ট্র্যাজেডির একমাস না যেতেই ফের আরেকটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার তারাবো পৌরসভার মৈকুলী এলাকায় অবস্থিত ইউনাইটেড গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড লেদার কারখানায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে কোন হতাহত না হলেও অন্তত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ইউনাটেড গ্রুপের এম হোসেন কটন এন্ড স্পিনিং মিল ও লেদার কারখানার প্রধান ফটকে কর্মরত নিরাপত্তাকর্মী প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল কাদের জানান, দুপুর বারোটার একটু পরে ইউনাইটেড লেদার কারখানার দোতলা টিনশেড ভবনের দ্বিতীয় তলার কেমিকেলের গোডাউনে হঠাৎ করে আগুনে ধোঁয়া দেখতে পান। এসময় লেদার কারখানা বন্ধ থাকলেও কেমিকেলে গোছগাছের কাজ করা ৭/৮ জন শ্রমিক দৌড়ে বাইরে চলে আসে। অপরদিকে স্পিনিং সেকশনে কাজ করা ৮/৯'শ শ্রমিক আতংকে ছুটোছুটি শুরু করে। পরে কারখানা থেকে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে দ্রুত ডেমরা-কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। পরে আরও অনেকগুলো ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে এসে কাজ করলে দুপুর দেড়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
প্রতিষ্ঠানের এডমিন ম্যানেজার ফজলুর রহমান জানান, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কেমিকেল সেকশনে আগুনের ধোঁয়া দেখতে পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই।
তারা এসে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এলেও ততক্ষণে গোডাউনের সমস্ত কেমিকেল পুড়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কারখানার স্পিনিং সেকশন চালু থাকলেও লেদার সেকশন বন্ধ থাকায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, গতকাল এই সেকশনে ম্যান্টেনেন্সের কাজ করেন তারা। এতে কোন বিদ্যুতের তার স্প্যার্ক করে আগুন ধরতে পারে।
এসব বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক (অপারেশন) দেবাশীষ বর্মন জানান, প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগার সংবাদে ঢাকা হেড কোয়ার্টারসহ ডেমরা কাঞ্চন আড়াইহাজার নারায়ণগঞ্জের ১৩টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে এক ঘন্টার একটু বেশি চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর আমরা পাইনি। তবে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুনের সূত্রপাত জানাতে পারেননি তিনি। আগুন লাগার খবরে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেনসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছেন। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের সমস্ত সুরক্ষা সামগ্রী নিতে তারা কাজ করেছেন। যাতে হাসেম ফুডের মতো ঘটনা এড়ানো যায়।