প্রায় এক দশক ধরেই অর্থনৈতিক দুরাবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যয় সংকোচনের পথে হাটছে দেশটির সরকার। তবে এবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী বিকল্প আয়ের উৎস খুঁজে বের করতে সরকারি বাসভবন ভাড়া দেয়ার কথা জানিয়েছেন। এরইমধ্যে ইসলামাবাদে থাকা তার বাসভবন ভাড়া দেয়ার জন্য তোলা হয়েছে। ২০১৯ সালেই দেশটির সরকার এই পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল। তখন পরিকল্পনা ছিল এখানে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হবে। তখনই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ওই বাড়ি ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে এখন কেন্দ্রীয় সরকার বলছে ওই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে।
জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি নয় বরঞ্চ ওই ভবন ভাড়া দিয়ে অতিরিক্ত আয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
এনডিটিভির খবরে জানানো হয়েছে, ওই ভবন এখন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, ফ্যাশন ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিভিন্ন ইভেন্টের জন্য ভাড়া দেয়া হবে। এ নিয়ে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাদের ওপরে। এ নিয়ে আরও আলোচনায় বসতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। সেখানে উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক নানা সম্মেলন আয়োজনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গেছে।
মৌলবাদের উত্থানের পর পাকিস্তানের অর্থনীতির এখন এমন হাল হয়েছে যে জনকল্যাণমূলক খাতগুলোতে ব্যায়ের জন্য অর্থ নেই দেশটির সরকারের কাছে। দেশের এমন পরিস্থিতির মধ্যে এরকম প্রাসাদের মতো বাড়িতে থাকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অনেক কটু কথাও শুনতে হয়েছিল। তিনি নিজেও জানিয়েছিলেন এটি তার পছন্দ নয়। এরপর থেকেই তিনি এই ভবন ছেড়ে নিজের বানি গালা বাসভবনে রয়েছেন এবং সেটিকেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছেন। যদিও ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর গত তিন বছরে পাকিস্তানের অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়েছে ১৯ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।