গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে করোনাতে নতুন শনাক্ত ও মৃত্যু বেড়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ বুধবার কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম এ কথা বলেন।
অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, গত সাত দিনে তিন লাখ ৯২ হাজার ৯৩৬টি করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তাতে এক লাখ ১৬ হাজার ২৬৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ৫৩ হাজার ৭৪৯ জন বেশি।
চলতি সপ্তাহে ৪৮০ জন বেশি মারা গেছেন। জানুয়ারি থেকে সংক্রমণের যে চিত্র তাতে জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রোগী আমরা দেখেছি। আগস্ট মাসেও রোগীর সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। জেলাভিত্তিক রোগীর হিসাবে ঢাকা শীর্ষে অবস্থান করছে। তারপরই চট্টগ্রাম। রাজশাহীতে রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে কম।
বিভাগওয়ারী মৃত্যুর হিসাবে ঢাকার পরেই আছে চট্টগ্রাম।
বুলেটিনে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আবারও আশঙ্কাজনক রূপ নিতে পারে, এমন উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, বর্ষাকালে আমরা গত কয়েক বছর ধরেই দেখেছি— এডিসবাহিত যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি, সেটি সময় সময় অত্যন্ত আশঙ্কাজনক রূপ নিয়েছে। ২০১৯ সালে আমরা দেখেছি, ডেঙ্গু মহামারি আমাদের কীভাবে আক্রান্ত করেছিল। ২০২১ সালে এসে একই রকম একটি পরিস্থিতির মুখে আমরা দাঁড়িয়েছি। আমরা মনে করি, দ্রুত ব্যবস্থা নিলে সেটি মোকাবিলা করতে পারবো।’
ডেঙ্গু সংক্রমণের চিত্র তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার (৩রা আগস্ট) সকাল ৮টার পর্যন্ত ঢাকায় ২৪৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে ১৬ জন ছিলেন ঢাকার বাইরের। এই সময় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে এক হাজার ৭২ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে এক হাজার ২৫ জন রোগী ছিলেন। অন্যান্য বিভাগে মোট ভর্তি ছিলেন ৪৭ জন রোগী।
অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের ২ জানুয়ারি থেকে ৩রা আগস্ট পর্যন্ত মোট তিন হাজার ৪৪৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২ হাজার ৩৭০ জন। জুলাই মাসে ২ হাজার ২৮৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, আগস্টের তিন দিনে ৭৮৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।