বর্ষা মৌসুমে মিনি গ্রিন হাউজ ও মালচিং পদ্ধতিতে বাহারি রঙের তরমুজ, লাউ, শসা, করলা, বোম্বাই মরিচ, পেঁপে, কাঁচামরিচ, লাফা, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, টমেটোসহ নানা প্রজাতির সবজি চাষ করে ভাগ্য বদলেছে কৃষক জাকির হোসেন ও ওমর ফারুকের। তাদের সফলতায় স্থানীয় অনেক কৃষক মিনি গ্রিন হাউজ ও মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ শুরু করেছেন। এভাবেই পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রাম এক সময় গোটা উপজেলায় পরিচিত হয়ে ওঠে সবজি গ্রাম হিসেবে। কৃষক জাকির হোসেন গাজী বলেন, ‘আমি এক সময় রাজমিস্ত্রি ছিলাম। সেখান থেকে এসে গত পাঁচ বছর ধরে কৃষি কাজ করে আসছি। এবছর আমি ৬ বিঘা জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ করি। যাতে খরচ হয় পাঁচ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা। উৎপাদিত সবজি বিক্রি করে দ্বিগুণ লাভ হয়।
এতে কৃষিকাজে আগ্রহ বাড়ে আমার। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবছরও ভালো লাভের আশা করি।’ কৃষক মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘কলাপাড়া উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন হাট বাজারে আমাদের সবজি বিক্রি হয়। বাজার জাত করার জন্য যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারণে সবজির ন্যায্য মূল্য পাই না। সরকারিভাবে কৃষি কাজে সহায়তা পেলে ব্যাপক আকারে সবজি চাষ করতে পারবো বলে আশা করি।’ কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ্ বলেন, শুধু কুমিরমারা নয়, কলাপাড়া উপজেলার সকল ইউনিয়নে আমরা কৃষকদের আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে প্রশিক্ষণ দিয়ে সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করবো।